মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফের রক্তাক্ত নাইজেরিয়া। লাগাতার দুষ্কৃতী হামলায় উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় মৃত্যু হল অন্তত ২০০ জনের। এখনও নিখোঁজ বহু। সপ্তাহের শুরুতেই দুষ্কৃতীদের ঘাঁটির দখল নিয়েছিল সেনা-পুলিশ। তারই প্রত্যাঘাত হিসেবে নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। যদিও হত্যালীলার নৃশংসতার কথা স্বীকার করেনি প্রশাসন।
বহুদিন ধরেই উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য নাইজেরিয়া দস্যুদের ঘাঁটি। লুটপাট, ধর্ষণ, অপহরণ, খুন-জখম রোজকার ঘটনা। তবে ২০২০ থেকে এধরনের ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়েছে। অভিযোগ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মান্দু বুহারি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। আর সেই সুযোগই নিয়েছে দস্যুরা।
সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারির শুরু থেকে দস্যুদের ঘাঁটি দখলের লড়াই চলছিল। আকাশপথে সে সমস্ত এলাকায় হামলা চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই হামলায় একাধিক দুষ্কৃতীও নিহত হয়। তারই বদলা নিতে উত্তর পশ্চিম নাইজেরিয়ার জামফারা প্রদেশের একের পর এক গ্রামে হামলা চালায় দস্যুদল।
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার বাইকে চেপে প্রায় ৩০০ জন জামফারা প্রদেশের পর পর ৮টি গ্রামে হামলা করে। নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। নৃশংস হত্যালীলা থেকে পার পায়নি কেউই। যুবক-যুবতী থেকে শিশু-বৃদ্ধ, সকলকে হত্যা করে তারা। অন্য আরেকটি ঘটনায় আনকা প্রদেশে ৩০ জনকে খুন করেছে দস্যুরা।
যদিও ২০০ জনের মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ সে দেশের সরকার। তাদের দাবি, প্রত্যাঘাতে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, সংখ্যা এর অন্তত ৪ গুণ। এদিকে শনিবার ওই গ্রামগুলির দখল নিয়েছে সেনা। জানা গিয়েছে, গণকবর তাদের সমাধিস্থ করা হয়। এদিকে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, দমন অভিযান চলছে। সেনাবাহিনী দস্যুদের একাধিক হাতিয়ার, সম্পত্তি দখল করেছে। আমজনতাকে রক্ষা করতে সেনা ভবিষ্যতেও অভিযান চালাবে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই নাইজেরিয়ার উত্তরভাগে অশান্ত। এই এলাকায় একাধিক গ্যাংয়ের উপস্থিতি এবং বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠীর কারণে এই ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে। এই বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী নাক আইএস জঙ্গিদের সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে। ফলে চিন্তা আরও বেড়েছে নাইজেরিয়ার সরকারের।
জাতসিংঘের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া-সহ প্রতিবেশী দেশ নাইজার, চাদ ও ক্যামেরুনে একাধিক জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বোকো হারাম। এর মধ্যে শুধু নাইজেরিয়াতেই ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের তাণ্ডবে ঘর ছাড়া হয়েছেন আরও ৩০ লাখ মানুষ। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।