Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

প্রশ্ন : মিথ্যা বলা কেমন পাপ? মিথ্যার জন্যে পরকালে কিরূপ শাস্তি হবে? কোনো লজ্জাজনক কথা যেমন, ধূমপান করা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে মিথ্যা বললে কি পাপ হবে?
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। বলা হয়, মিথ্যা বলা সকল অপকর্মের শিকড়। একটা মানুষ যদি মিথ্যা বলা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক অনেক পাপ ও অন্যায় কর্ম এমনিতেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। কেননা, মিথ্যা বলার সুযোগ নিয়েই মানুষ অনেক অপরাধ করার সাহস পায়। শরীয়তের একটি মূলনীতি রয়েছে, ‘সত্য মুক্তি দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।’ পরকালে মিথ্যা বলার সাজা হবে খুবই কঠোর। কোনো লজ্জাজনক কাজ বা ভূমিকা প্রকাশ না পাওয়ার জন্যেও মিথ্যা বলা অপরাধ। এ ধরনের মিথ্যা কথার জন্যও আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে প্রকাশ করা জরুরী নয় এমন বিব্রতকর প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার বা দ্ব্যর্থবোধক কথা বলে নিজেকে রক্ষা করা ক্ষেত্র বিশেষে জায়েজ রয়েছে। এ স্থানগুলো জানার জন্য শরীয়তের বিশদ জ্ঞান থাকতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য লজ্জাজনক কাজেও মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। মানুষ লজ্জাজনক কাজ বা অপরাধ সংঘটিত না করুক, এ জন্যই তো মিথ্যা বলার দ্বার রুদ্ধ করা হয়েছে।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। এমন হয় না। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় সুন্নত নামায শুধু গর্ভবতীদের জন্য নয় বরং সব মুসলমানের জন্য বিধিবদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশে রেওয়াজ নেই তবে মক্কা মদীনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ সুন্নত নামায পড়া হয়। গর্ভবতী মহিলারা এ সময় স্বাভাবিক সব কাজকর্ম করতে পারবেন। ঘুমুতে পারবেন, কাটাকাটি করতে পারবেন, এতে কিছুই হবে না। যা বলা হয় সবই কুসংস্কার।
প্রশ্ন : অজু ছাড়া কি মোবাইলে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের অনুবাদ দেখা যাবে? তাছাড়া আমরা অনেকেই মোবাইলে একই সাথে কোরআন তেলাওয়াত শুনি, গজলও শুনি আবার গানও শুনি। মাত্রই গান শুনলাম, আবার এখনই গান বন্ধ করে তেলাওয়াত চালিয়ে দিলাম। এটা কি গুনাহের কাজ নয়?
উত্তর : অজু ছাড়া কোরআন তেলাওয়াত ও তরজমা পড়া যায়েজ। প্রশ্ন হলো, স্পর্শ করা নিয়ে। মোবাইলে যে কোরআন থাকে তা মুদ্রিত নয়। এটি আলোর মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ডট মাত্র। আয়াতের ওপর স্পর্শ না করে, অজু ছাড়া মোবাইলটি হাতে রেখেও তেলাওয়াত করা যায়েজ। একই মোবাইলে সওয়াবের কিছু করলে সওয়াব হবে। গোনাহর কিছু করলে গোনাহ হবে। এগুলো একটি যন্ত্রে সম্মিলিত হয়েছে বলে সবই গোনাহয় পরিণত হবে না। যেমন মানুষের মন-মস্তিস্কে বা মুখে যদি সে খারাপ বিষয় চর্চা করে অতঃপর তা বন্ধ করে ওই মুহূর্তেই সে ভালো বিষয় চর্চা করে তাহলে কি তার গোনাহ ও সওয়াব দু’টোই হবে না। ধরে নিন, একটি যন্ত্রও প্রায় তেমনিই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ