চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : মসজিদে বসে কোন ধরনের পত্র-পত্রিকা পড়া যাবে? জনৈক ব্যক্তি বললেন, মসজিদে বসে পত্রিকা পড়া যাবে না। বিশদ জানতে চাই।
উত্তর : মসজিদ ইবাদত-বন্দেগি, জ্ঞানচর্চা ও সাধারণ সৎকর্মের জায়গা। এখানে অর্থহীন কথাবার্তা বলা ও বেহুদা কাজকর্ম করা নিষিদ্ধ। ইসলামি ভাবধারার নির্দোষ পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যেতে পারে। তবে প্রাণীর ছবিযুক্ত সচিত্র কোনো পত্রিকা মসজিদে বসে পড়া উচিত নয়। বাজে-বেহুদা কথা, সংলাপ ও সত্য-মিথ্যা সংবাদ সম্বলিত কোনো পত্রিকাও মসজিদে বসে পড়া ঠিক নয়। মসজিদে কেবল কোরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনি বই-পত্রই পড়া উচিত। দুনিয়াবি বই-পত্র নয়। এ অর্থে উল্লিখিত ‘জনৈক ব্যক্তি’ ঠিকই বলেছেন। সম্পূর্ণ দ্বীনি ও নির্দোষ তথ্য সম্বলিত পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যায়, তবে সতর্কতা হেতু এসব পড়াশোনা অন্যত্র বসে করাই উত্তম। কেননা, ভালো জিনিষের পাশাপাশি স্বল্পবুদ্ধির লোকেরা নিন্দিত ও নিষিদ্ধ বস্তুকেও মসজিদে নিয়ে যেতে পারে। এ থেকে ফেতনা-ফ্যাসাদের পথ উন্মুক্ত হওয়ার ভয় রয়েছে।
প্রশ্ন : ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী কী?
উত্তর : সন্তান জন্মের পূর্বে হালাল খানা খাওয়া, নিজেদেরকে পবিত্র রাখা, দোয়া পড়া। পেটে আসার পর মা পর্দায় থাকা। আল্লাহর ধ্যানে ইবাদতে সময় কাটানো। খারাপ চিন্তা, খারাপ কথা, খারাপ দৃশ্য থেকে দূরে থাকা। শিশু জন্মের পর আজান ও ইকামত শোনানো। সুন্দর নাম রাখা। সঙ্গতি থাকলে আকিকা দেয়া সুন্নত। কথা বলতে শুরু করলে প্রথম ‘আল্লাহু’ বলানো। আদর ও শাসনে বড় করা। সুশিক্ষিত করা। সময়মতো বিয়েশাদি দেয়া। প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ পাওয়ার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। বিশেষত দ্বীনি মেজাজ তৈরি করা, যেন বাবা-মায়ের সাথে দুনিয়াতে সদাচরণ ও মৃত্যুর পর দোয়া করে।
প্রশ্ন : আমি একটি ছাগল সাদকা দিব। সাদকা দেওয়ার নিয়ম জানতে চাই। কিভাবে বণ্টন করতে হয়, কাকে কাকে দেওয়া যাবে এবং যাবেনা, জানতে চাই।
উত্তর : একটি প্রাণী সাদকা দেওয়া মানে এটি আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করা। যারা যাকাত ফিতরা নিতে পারে তারাই কেবল সাদকা নিতে পারে। এমন কাউকে দিয়ে দেন, জবাই করলে গোশত বা তরকারী শুধু এমন মানুষকেই দিতে হবে। নিজে বা ধনী কোনো মানুষ সাদকার মাল খেতে পারে না বিধায় এ ছাগল থেকে তারা কিছুই খেতে বা গ্রহণ করতে পারবে না। এজন্য গরীব বা এতীমদের জন্য এটি দিয়ে দেওয়াই উত্তম।
প্রশ্ন : চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের রাত্রে গর্ভবতী মহিলারা কিছুই করতে পারবে না, ঘুমাতেও পারবে না। যদি কোনো কাজ করে বা ঘুমায় তাহলে খারাপ কোনো কিছু ঘটবে যেমন- সন্তান প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবে। কোনো কিছু কাটলে হাত বা ঠোঁট কাটা সন্তান জন্ম নিবে। এ বিষয়ে জানতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।