মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, রাজধানী দিল্লিতে আজ প্রায় ১০ হাজার নতুন কোভিড রোগী সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি ১০০টি পরীক্ষার বিপরীতে সনাক্তের হার ১০% বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সনাক্তের হার ৮.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সোমবারের ৬.৪৬ শতাংশ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শুরু হয়ে গেছে। আর ‘দিল্লির জন্য, এটি পঞ্চম তরঙ্গ’।
দিল্লির বাসিন্দাদের সতর্ক করে জৈন বলেন যে, যদিও অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রনের লক্ষণগুলো হালকা বলে মনে হচ্ছে, তথাপি কোভিড-সম্পর্কিত সমস্ত নিয়ম-কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে বেসরকারি হাসপাতালের ৪০ শতাংশ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জৈন আরও বলেন যে, ওমিক্রন সনাক্তের জন্য দিল্লি থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ নমুনা এখন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে, কারণ সমস্ত নমুনার সিকোয়েন্সিং সম্ভব নয়। তবে কোভিড টেস্টিং বাড়ানো হয়েছে এবং আজ প্রায় ৯০ হাজার পরীক্ষা করা হয়েছে।
দিল্লিতে গতকাল ৫৪৮১ জনের করোনা ধরা পড়েছে এবং তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির প্রাদেশিক সরকার নতুন বিধি-নিষেধ ঘোষণা করেছে।
দিল্লিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং কোভিড সংক্রমণ সীমিত রাখতে সরকারি অফিসের জন্য বাড়ি থেকে কাজের নিয়ম শুরু করা হয়েছে। নতুন বিধিনিষেধের অধীনে প্রাইভেট খাতের অফিসগুলো শুধুমাত্র ৫০% শতাংশ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পারবে। দীর্ঘ সারি এবং ভিড় এড়াতে বাস এবং দিল্লি মেট্রোর যানবাহনগুলো পূরোপুরি চলবে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এর আগে বলেছিলেন যে, তার সরকার জাতীয় রাজধানীতে দিনে এক লাখ পর্যন্ত কোভিড রোগীর ব্যবস্থাপনা করতে প্রস্তুত। দিল্লির পরিকল্পনায় একটি কোভিড ওয়ার রুম রয়েছে, যেখান থেকে হাসপাতালের বেড, রোগী, অক্সিজেন ইত্যাদি সম্পর্কে জেলা এবং হাসপাতাল-ভিত্তিক তথ্যের হিসাব রাখা হবে।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘চিন্তার কিছু নেই। মাস্ককে আপনার ঢাল বানিয়ে ফেলুন’।
ওদিকে, এক ভয়ানক সতর্কবার্তায় সরকারি সূত্রগুলো গতকাল বলেছে যে, সংক্রমণের বর্তমান হার বজায় থাকলে দিল্লিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দিনে ২০-২৫ হাজার রোগী সনাক্ত হতে দেখা যেতে পারে এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়তে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।