নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চীনে যেসব ফুটবলার জাতীয় দলে খেলেন, তাদের শরীরে উল্কি বা ট্যাটু করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন জারি করা এক নির্দেশে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যারা শরীরে ইতোমধ্যেই উল্কি করিয়েছেন তারা যেন তারা মুছে ফেলেন।
দেশটির ক্রীড়া প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বলেছে, জাতীয় পর্যায়ে এবং তরুণদের স্কোয়াডের জন্য ট্যাটু করা নতুন কোন খেলোয়াড়কে নিয়োগ করা "কঠোরভাবে নিষিদ্ধ" করা হয়েছে। প্রশাসন বলছে এই পদক্ষেপের লক্ষ্য "সমাজের জন্য একটা ভাল উদাহরণ সৃষ্টির" চেষ্টা। ডিফেন্ডার ঝ্যাং লিনপেং-এর মত কয়েকজন জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল তারকাকে আগেই তাদের উল্কি ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে।
চীন ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে পর্দায় ট্যাটু দেখানো বন্ধ করতে ক্রমশই নিয়মনীতি জোরদার করছে। এর পর থেকে কিছু পেশাদার ফুটবলার তাদের ট্যাটু বা শরীরের অঙ্কন শিল্প ঢাকতে পুরো হাতা জামা পরছেন। চীনের খেলাধুলা বিষয়ক সাধারণ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জিএএস বলেছে, যেসব জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়ের ট্যাটু আছে তাদের সেগুলো "মুছে ফেলার পরামর্শ" দেওয়া হয়েছে।
"বিশেষ পরিস্থিতিতে, দলের অন্যদের অনুমতি নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার সময় ট্যাটু ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে," বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। চীনের সংস্কৃতিতে ট্যাটু বা উল্কিকে ভাল চোখে দেখা হয় না। অতীতে দাগী অপরাধীরাই শুধু গায়ে ট্যাটু আঁকাতো। এখনও পূর্ব এশিয়ায় সংগঠিত অপরাধ চক্রের অংশ হিসাবে ট্যাটুকে দেখা হয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ যারা শরীরে ট্যাটু করেন, তাদের প্রায়ই অশিক্ষিত হিসাবে দেখা হয়।
চীনের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টি ট্যাটু বা উল্কি অনুমোদন করে না। অথচ তরুণ চীনাদের মধ্যে উল্কি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবছরের গোড়ার দিকে, চীনের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঘোষণা করে যে পর্দায় "কোন কোন বিষয় স্বাস্থ্যকর বিবেচিত হবে না" সে বিষয়ে নিয়মনীতি কঠোর করা হচ্ছে।
খেলাধুলা জগতের তারকা এবং সেলিব্রিটি ব্যক্তিত্ব যাদের ট্যাটু আছে বা পুরুষ ব্যক্তিত্ব যাদের চুলের পনিটেল আছে, তাদের টেলিভিশনে এবং ইন্টারনেটে চেহারা দেখানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেক সময় এধরনের ব্যক্তিত্বদের চেহারা পর্দায় ঝাপসা করে দেয়া হয়। গত ডিসেম্বর মাসে চীনে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একটি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করে দেয়া হয় এই বলে যে খেলোয়াড়দের চুল রং করার অনুমতি নেই।
ন্যাশানাল ইউথ ক্যাম্পাস ফুটবল লিগ নামেএই প্রতিযোগিতার আয়োজকরা সেসময় এক বিবৃতিতে জানান: "খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতার কোন পর্বেই ট্যাটু করতে পারবেন না, চুল রং করতে পারবেন না, চুলে আজব হেয়ারস্টাইল করা চলবে না অথবা কোনরকম কৃত্রিম উপকরণ পরা চলবে না। নিয়ম না মানলে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।" সূত্র: বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।