মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে গত এক দশকের মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক ১২৬টি বাঘ মারা গেছে। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঘের আবাস ভারতের জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) গত বুধবার বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
দেশটিতে চলতি বছরে নানা কারণে মারা গিয়েছে ১২৬টি বাঘ। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ‘জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ (এনটিসিএ) বৃহস্পতিবার এই পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, গত এক দশকে বাঘের বার্ষিক মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে ২০২১।
সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, চোরাশিকার, সড়ক দুর্ঘটনা, লোকালয়ে ঢুকে পড়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নানা কারণের বলি হয়েছে জাতীয় পশু। এর মধ্যে চোরাশিকারিদের গুলি, ফাঁদ এবং বিষে মৃত্যু হয়েছে ৬০টি বাঘের। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১২ সাল থেকে ভারতে বাঘের সংখ্যা এবং মৃত্যু সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে এনটিসিএ। তা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে ভারতে ১২১টি মৃত্যু হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে বাঘের মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে দেশের ‘টাইগার স্টেট’ মধ্যপ্রদেশ। গত ১২ মাসে ওই রাজ্য হারিয়েছে ৪১টি বাঘ। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে ২৫, কর্নাটকে ১৫ এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ৯টি মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত হয়েছে।
২০১৮ সালের সুমারিতে ভারতের জঙ্গলগুলিতে ২,৯৬৭টি বাঘের অস্তিত্ব নথিভুক্ত হয়েছে। ১২৬টি বাঘের মৃত্যু সত্ত্বেও চলতি বছর সেই সংখ্যা ৩,০০০ পেরিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান বাব বিশেষজ্ঞদের একাংশের। প্রসঙ্গত, পৃথিবী জুড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকে থাকা বাঘের ৭৫ শতাংশই রয়েছে ভারতের জঙ্গলগুলিতে।
ভারতের সরকারি সংস্থাটি ২০১২ সাল থেকে বাঘের মৃত্যু বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ২০১৬ সালে এর আগের সর্বোচ্চ সংখ্যক ১২১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে ২০০৬ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪১১টি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৯৬৭-তে।
ভারতে বাঘের মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গলের অনেক জায়গা বেশি দুর্গম হওয়ার কারণে ক্যামেরার পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।