Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেড় মাস পর পশুর নদে ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধার, মেলেনি সুকানির লাশ

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:২৬ পিএম

এক মাস ১৩ দিন পর উদ্ধার হলো ডুবন্ত কার্গো জাহাজ এম,বি ফারদিন- ১। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে একটি উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে টেনে এটিকে বন্দর চ্যানেলের কানাইনগর এলাকার পশুর নদীর চরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। ওই সময় ডুবে যাওয়া কার্গোটিতে নিখোঁজ থাকা সুকানি মোঃ মহিউদ্দিন (৬০) এর সন্ধান মেলেনি। ডুবন্ত কার্গো জাহাজের হ্যাচের মধ্যে মহিউদ্দিনের মরদেহ আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করছিলেন ডুবুরি দল ও নিখোঁজের পরিবার সদস্যরা। তবে জাহাজটি উত্তোলন হলেও মহিউদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়নি।
ডুবন্ত কার্গোটির উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের ভাই ভাই স্যালভেজ কোম্পানীর মালিক মোঃ আঃ সাত্তার জানান, হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাংকোরেজ এলাকায় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি উত্তোলনের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানের সাথে কার্গো মালিকের চুক্তিপত্র হয়। প্রথমে ডুবন্ত ওই কার্গোটি থেকে অন্য একটি কার্গোতে কয়লা অপসারণ করা হয়েছে। ডুবন্ত কার্গোতে যে পরিমান কয়লা ছিল পাম্প মেশিনের সাহায্যে গত ১৫ ডিসেম্বর সম্পুর্ণ কয়লা অপসারণ শেষ হয়। পরে শুধু কার্গোটি উত্তলনের কাজ শুরু করা হয়। সেখান থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন সময় ধরে ডুবন্ত কার্গোটি উঠিয়ে দুইটি নৌযানের সহায়তা ভাসিয়ে এনে সোমবার রাতে মোংলার কানাইনগর এলাকায় পশুর নদীর চরে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ডুবন্ত কার্গো উঠানোর পর দেখা যাচ্ছে এটি বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়ার পর ওই বিদেশী জাহাজটি ডুবন্ত কার্গো জাহাজটির উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ব্লেডের আঘাতে দুমড়ে-মুছড়ে গেছে এ কার্গোটি। যার কারণে কার্গোতে থাকা ৭ নাবিকের মধ্যে ৫ জনই নিখোঁজ হয়েছে।
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ এলাকার এম,বি ফারদিন-১ এর মালিক মোঃ ফজলুল হক খোকন বলেন, আমার এই বাল্কহেডটি অন্য আরেকজনের কাছে ভাড়া দেওয়া ছিলো। তার কাছে থাকা অবস্থাতেই মোংলা বন্দরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। যারা উত্তোলন করেছে তারা বলেছে এই কার্গো দিয়ে আর কোন কাজ বা নৌপথে চলানো সম্ভব হবেনা, এখন কেটে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।
গত ১৫ নভেম্বর রাতে প্রায় সাড়ে ৬শ মেঃ টন কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এম,বি ফারদিন-০১ বন্দর ছেড়ে যাওয়ার সময় বিদেশী একটি জাহাজের ধাক্কা লেগে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাংকোরেজ বয়া এলাকায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনার সময় ওই কার্গোর ২ জন নাবিক জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ থাকে ৫ জন নাবিক। তার মধ্যে থেকে ৪ জনের লাশ বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন লস্কর মোঃ মহিউদ্দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ