Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের যে চাঞ্চল্যকর ‘জীবাণু খুনি’ সারা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৮ এএম

দিনটা ছিল ১৯৩৩ সালের ২৬শে নভেম্বর। কলকাতার ব্যস্ত হাওড়া স্টেশনে এক তরুণ জমিদারের গায়ে ঘষা দিয়ে চলে গেলেন ছোটখাট চেহারার এক মানুষ। বিশ বছরের তরুণ অমরেন্দ্র চন্দ্র পান্ডে ডান হাতে টিকার সূঁচ ফোটানোর মত একটা ব্যথা অনুভব করলেন। পাশ দিয়ে যে ব্যক্তিটি হাওড়া স্টেশনের জনসমুদ্রে মিলিয়ে গেলেন, তার গায়ে ছিল মোটা খদ্দরের পোশাক।

''কে যেন আমার গায়ে সূঁচ ফোটাল,'' বলে উঠলেন মি. পান্ডে। তিনি যাচ্ছিলেন প্রতিবেশি রাজ্য আজকের ঝাড়খন্ড-এ পাকুড় জেলায় তাদের পৈতৃক বসতভিটেতে। যাত্রা বন্ধ করার কথা তার মাথাও আসেনি। অমরেন্দ্র চন্দ্র পান্ডের সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজন যারা ছিলেন, তারা অনুনয় করলেন কলকাতায় থেকে যেতে এবং রক্ত পরীক্ষা করাতে। কিন্তু তার সৎ ভাই, তার থেকে বয়সে ১০ বছরের ছোট বিনয়েন্দ্র, যিনি বিনা আমন্ত্রণেই স্টেশনে এসেছিলেন, ব্যাপারটা ''হেসেই উড়িয়ে দিলেন" এবং তাকে রাজি করালেন বিলম্ব না করে তখুনি রওনা হয়ে যেতে।

তিনদিন পর কলকাতায় ফিরতে হল অমরেন্দ্রকে। তার তখন ধুম জ্বর উঠেছে। বাহুর ঠিক যে জায়গায় তিনি সূঁচ ফোটার ব্যথা অনুভব করেছিলেন, সেখানে সূঁচ ফোটার মত একটা চিহ্ণ দেখার পর অমরেন্দ্র পান্ডে কলকাতায় ফিরে যান। তাকে পরীক্ষা করেন একজন চিকিৎসক। পরের কয়েক দিন তার জ্বর হু হু করে বাড়তে থাকে, বগলের নিচটা ফুলে ওঠে এবং ফুসফুসের রোগের প্রাথমিক লক্ষ্মণগুলো প্রকাশ পায়। তেসরা ডিসেম্বর রাতে তিনি কোমায় চলে যান এবং পর দিন ভোরে তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকরা রায় দেন মি. পান্ডে মারা গেছেন নিউমোনিয়া রোগে। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ল্যাবরেটরি থেকে যখন পরীক্ষার রিপোর্ট আসে, তখন জানা যায় তার রক্তে ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস নামে একটি প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, যার থেকে প্লেগ রোগ হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ১৮৯৬ থেকে ১৯১৮ সালের মধ্যে এক কোটি বিশ লাখের ওপর মানুষ মারা গিয়েছিল ইঁদুর এবং ডানাবিহীন একধরনের মাছির মাধ্যমে সংক্রমিত প্লেগ রোগ থেকে। এরপর ১৯২৯ থেকে ১৯৩৮এর মধ্যে প্লেগে মৃত্যুর হার প্রায় পাঁচ লাখ কমে আসে। অমরেন্দ্র পান্ডের মৃত্যুর আগের তিন বছর কলকাতায় প্লেগ রোগে একজনও আক্রান্ত হবার ঘটনা ঘটেনি।

এক ধনী জমিদার পরিবারের একজন সদস্যকে এই চাঞ্চল্যকর উপায়ে খুন করা ঘটনা তখন ব্রিটিশ ভারত ও ভারতের বাইরে তুমুল আলোড়ন ফেলে দেয়। অনেকে একে বর্ণনা করেন "আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে একক ব্যক্তির জীবাণু সন্ত্রাসের প্রথম ঘটনা" হিসাবে। পত্রপত্রিকাগুলো এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বৃত্তান্ত তখন প্রকাশ করতে থাকে। টাইম ম্যাগাজিন একে বলে "জীবাণু দিয়ে হত্যা" আর সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস একে বর্ণনা করে "বাহু বেঁধানোর রহস্য" এই শব্দবন্ধে।

কলকাতা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এক জটিল ষড়যন্ত্রের জালের রোমাঞ্চকর কাহিনী। তুলে ধরা হয় সুদূর মুম্বাইয়ের (সেসময়ের বম্বে) এক হাসপাতাল থেকে প্রাণঘাতী জীবাণু চুরি করা সহ নাটকীয় ও সাহসী এক চক্রান্তের কথা। এই খুনের পরিকল্পনার মূলে ছিল পরিবারের ভেতর দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ। পান্ডে পরিবারের দুই সৎ-ভাইয়ের মধ্যে দুই বছর ধরে চলছিল পাকুড়ে তাদের প্রয়াত পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে লড়াই। পাকুড় ছিল কয়লা ও খনিজ পাথরের খনি সমৃদ্ধ এলাকা। জনপ্রিয় কাগজগুলো তখন দুই ভাইয়ের মধ্যকার এই বিরোধের কাহিনী নিয়ে উত্তাল। তাদের বর্ণনায় এটা মন্দ আর ভালর মধ্যে দ্বন্দ্বের কাহিনী।

এরকম একটি খবরে অমরেন্দ্র পান্ডেকে বর্ণনা করা হয় "ভদ্র ও উচ্চ-শিক্ষিত সজ্জন মানুষ হিসাবে, যিনি কঠোর নৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী, শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য নিয়মানুবর্তী জীবনে অভ্যস্ত এবং স্থানীয়দের কাছে তিনি 'অতি প্রিয়' ব্যক্তি।" অন্যদিকে, তার ভাই বিনয়েন্দ্র "উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এবং মদ্য ও নারীতে অতি মাত্রায় আসক্ত।"

আদালতের নথিতে বলা হয়, অমরেন্দ্রকে হতার ষড়যন্ত্র সম্ভবত নেয়া হয়েছিল ১৯৩২ সালে। তখন তারানাথ ভট্টাচার্য নামে এক চিকিৎসক, যিনি ছিলেন বিনয়েন্দ্রর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, একটি চিকিৎসা গবেষণাগার থেকে প্লেগ রোগের জীবাণু নিয়ে গবেষণাগারে তার কালচার তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কোন কোন খবরে আবার বলা হয়, বিনয়েন্দ্র পান্ডে সম্ভবত তার সৎ-ভাই অমরেন্দ্রকে হত্যার প্রথম চেষ্টা করেন ১৯৩২ সালের গ্রীষ্মকালে। যদিও এই খবরটি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।

সে খবরটি দেয়া হয় ব্রিটিশ এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডি পি ল্যাম্বার্টের একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে, যেখানে বলা হয়, "একটি শৈল শহরে অমরেন্দ্র আর বিনয়েন্দ্র দুই ভাই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তখন বিনয়েন্দ্র হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একজোড়া চশমা বের করে তা এমন জোরে অমরেন্দ্রর নাকের ওপর চেপে বসিয়ে দেন যে তার নাকের চামড়া ছড়ে যায়।" ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এরপরই অমরেন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্দেহ করা হয় যে ওই চশমায় জীবাণু মাখানো ছিল। অমরেন্দ্র পান্ডের ধনুষ্টঙ্কার হয়েছে বলে ডাক্তাররা মত দেন এবং তাকে ধনুষ্টঙ্কার নিরাময়ের ওষুধ দেন।

বিনয়েন্দ্র পান্ডের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল যে তিনি তিনজন আলাদা চিকিৎসককে নিয়ে এসেছিলেন, যাতে তারা ধনুষ্টঙ্কারের চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। কিন্তু ড. ল্যাম্বার্টের বিবরণ অনুযায়ী, কোন ডাক্তারই তার কথামত কাজ করতে রাজি হননি। এর পরের বছর যা ঘটল, তা সময়ের বিচারে ছিল অনেক উঁচু মানের এক খুনের চক্রান্ত। একদিকে তখন বিনয়েন্দ্র পান্ডে তার পৈতৃক বাসভবনের উত্তরাধিকার পেতে মরিয়া, অন্যদিকে তার ডাক্তার বন্ধু তারানাথ ভট্টাচার্যও বন্ধুকে সাহায্য করতে জীবাণু তৈরিতে নাছোড়বান্দা। ডা. ভট্টাচার্য ইতোমধ্যে অন্তত চারবার কৃত্রিমভাবে প্লেগের জীবাণু তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

ডা. ভট্টাচার্য ১৯৩২ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ের হাফকিন ইন্সটিটিউটের পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। ভারতে সেটাই ছিল একমাত্র গবেষণাগার যেখানে এধরনের জীবাণুর কালচার তৈরি করা হতো। কিন্তু ওই গবেষণাগারের পরিচালক সাফ জানিয়ে দিলেন, বেঙ্গলের সার্জেন জেনারেলের অনুমতি আনতে হবে, নাহলে তারা এই জীবাণু তৈরির রসদ তাকে সরবরাহ করবেন না।

ঐ মাসেই ডা. ভট্টাচার্য কলকাতার এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বলেন যে তিনি প্লেগের একটা ওষুধ আবিষ্কার করেছেন এবং গবেষণাগারে কালচার করা জীবাণুর ওপর সেটা তিনি পরীক্ষা করে দেখতে চান। আদালতের নথি অনুযায়ী, চিকিৎসক তাকে গবেষণাগারে কাজ করার অনুমতি দেন, কিন্তু বলেন যে, হাফকিন ইন্সটিটিউট থেকে কালচার করা কোন জীবাণুতে তার হাত দেয়া নিষেধ। ফলে, ড. ল্যাম্বার্ট বলছেন, গবেষণাগারে প্লেগ ভাইরাস তৈরি করতে না পারার কারণে তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু দমবার পাত্র নন ডা. ভট্টাচার্য। ১৯৩৩ সালে তিনি আবার কলকাতার ওই চিকিৎসককে দিয়ে জোর করে হাফকিন ইন্সটিটিউটের পরিচালকের কাছে একটা চিঠি লেখান। ওই চিঠিতে চিকিৎসক ইন্সটিটিউটের অনুমতি চান যাতে ডা. ভট্টাচার্যকে "প্লেগের ওষুধ" পরীক্ষা করতে তাদের গবেষণাগার ব্যবহারের অনুমতি তারা দেন। সেবছরই গ্রীষ্মে বিনয়েন্দ্র পান্ডে মুম্বাই যান। তিনি ডা. ভট্টাচার্যর সাথে যোগ দিয়ে ইন্সটিটিউটে কর্মরত দুজন পশুরোগ বিশেষজ্ঞকে ঘুষ দিয়ে হাত করার চেষ্টা করেন, যাতে তারা ল্যাবরেটরি থেকে প্লেগ রোগের জীবাণু তারা লুকিয়ে বাইরে এনে দেন।

বিনয়েন্দ্র বাজারে গিয়ে কয়েকটা ইঁদুরও কেনেন দেখাতে যে তারা আসলেই বিজ্ঞানী ও প্লেগ নিয়ে গবেষণা করছেন। হাফকিনে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে, তারা দুজন আর্থার রোডে সংক্রামক ব্যাধির একটি হাসপাতালে যান। তারাও জীবাণুর কালচার মজুত রাখত। মি. পান্ডে সেখানকার কর্মকর্তাদের রাজি করান যাতে ডা. ভট্টাচার্যকে তার উদ্ভাবিত প্লেগের ওষুধ তাদের গবেষণাগারে তারা পরীক্ষা করতে দেয়- এ তথ্য লিপিবদ্ধ আছে আদালতের নথিতে। কিন্তু ডা. ভট্টাচার্য যে সেখানে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, এমন কোন তথ্যপ্রমাণই নেই। গবেষণাগারে ঢোকার অনুমতি পাবার প্রায় দিন পাঁচেক পর, ১২ই জুলাই ডা. ভট্টাচার্য হঠাৎ করেই "তার পরীক্ষা" বন্ধ করে দেন এবং বিনয়েন্দ্রকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে যান।

অমরেন্দ্র পান্ডেকে খুন করার তিন মাস পর ১৯৩৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারীরা খুঁজে বের করেন বিনয়েন্দ্র পান্ডের ভ্রমণের কাগজপত্র, মুম্বাইয়ের হোটেল বিল, হোটেলের রেজিস্টার বইয়ে তার নিজে হাতে লেখা নাম-ঠিকানা, ল্যাবরেটরিতে তার পাঠানো বার্তা এবং যে দোকান থেকে তিনি ইঁদুর কিনেছিলেন তার রসিদ। নয় মাস ধরে চলে চাঞ্চল্যকর এই খুনের মামলার শুনানি। বাদী ও বিবাদী পক্ষের দেয়া তথ্য নিয়ে মানুষের কৌতূহল পৌঁছয় তুঙ্গে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন ইঁদুরের গায়ে বসা মাছির কামড়ে মারা গেছেন অমরেন্দ্র পান্ডে। কিন্তু আদালত বলে খুনের দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামী মুম্বাইয়ের হাসপাতাল থেকে "প্লেগের জীবাণু চুরি করেছেন" এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ তাদের হাতে আছে। আদালত আরও বলে "ওই জীবাণু কলকাতায় নিয়ে আসার এবং ১৯৩৩ সালের ২৬শে নভেম্বর অর্থাৎ খুনের দিন পর্যন্ত তা বাঁচিয়ে রাখারও যে ব্যবস্থা করা হয়" সে প্রমাণও রয়েছে। বিচারে প্রমাণিত হয়, বিনয়েন্দ্র পান্ডে এবং ডা. তারানাথ ভট্টাচার্য অমরেন্দ্র পান্ডেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল এবং "ভাড়াটে খুনি" নিয়োগ করেছিল।

তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তবে, ১৯৩৬ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা আপিল আবেদনের পর তাদের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে নেমে আসে। খুনের সাথে জড়িত থাকার দায়ে আরও যে দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়, প্রমাণের অভাবে তারা খালাস পেয়ে যান। ওই আপিল শোনেন এমন একজন বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, "এই ঘটনা সম্ভবত অপরাধের ইতিহাসে নজিরবিহীন"।

আমেরিকান একজন সাংবাদিক ড্যান মরিসন যিনি এই হত্যার ঘটনা নিয়ে 'দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পয়জনার' নামে একটি বই লেখার জন্য গবেষণা করছেন, তিনি আমাকে বলেছেন, "বিনয়েন্দ্র ছিলেন বিংশ শতাব্দীর চিন্তাধারার একজন মানুষ। ভারতে সেসময় ব্রিটিশ শাসনামলে যেসব ভিক্টোরিয় মানসিকতার প্রতিষ্ঠান শাসনকাজ চালাত, বিনয়েন্দ্র ভেবেছিলেন, খুনের এই আধুনিক বুদ্ধি ব্যবহার করে তাদের তিনি সহজে বোকা বানাতে পারবেন।" মি. মরিসনের মতে, সেকালে রেলস্টেশনে এভাবে হত্যা নিঃসন্দেহে "অত্যন্ত আধুনিক পন্থার খুন"।

খৃস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে সম্ভবত জৈব অস্ত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। সেসময় আসিরিয়ানরা একধরনের ছত্রাকের জীবাণু বিষ হিসাবে তাদের শত্রুদের শরীরে প্রয়োগ করত। কিন্তু, অমরেন্দ্র পান্ডের মৃত্যুর সঙ্গে অনেক দিক দিয়ে মিল রয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই ৪৫ বছর বয়সী কিম জং নামের হালের মৃত্যুর ঘটনার। ২০১৭ সালে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে তিনি যখন ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন আততায়ীরা ঠিক এভাবেই তার শরীরে বিষয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। ওই ঘটনায় পরে যে দুজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়, তারা কিম জং নামের মুখের ওপর প্রাণঘাতী স্নায়ু বিকল করার বিষ ঘষে দিয়ে গিয়েছিল।

আজ থেকে ৮৮বছর আগে কলকাতার হাওড়া রেল স্টেশনে এক প্রিন্সও যে প্রায় একই কায়দায় খুন হয়েছিলেন, সেকথা মানুষ প্রায় ভুলেই গেছে। ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ভাড়া করা যে খুনি অমরেন্দ্র পান্ডেকে মেরেছিল, সেই ব্যক্তিকে আর তার ব্যবহৃত মারণাস্ত্র অর্থাৎ ইনজেকশনের সিরিঞ্জটা কখনই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ