গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনার মহামারীর কারণে চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলা দেরিতে শুরু হয়েছিল। আগামী বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তবে এবার যেনো করোনার কারণে বইমেলায় কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সে দিকে খেয়াল রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
২০২২ সালের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধনের কথা রয়েছে। বই মেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমদ বুধবার বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর পাশাপাশি ওমিক্রনের আক্রমণের কারণে যাতে বইমেলা বন্ধ ঘোষণা না করতে হয় সে জন্য সবধরনের আগাম প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রন্থমেলা নিয়ে গ্রন্থপ্রেমী মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষ বাসায় ঘরবন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। তারা সুযোগ পেলেই বাইরে আসছে। সুতরাং বইমেলা শুরু হলে জনসাধারণের প্রাণের স্পন্দন ও পদচারণায় মুখর হবে বইমেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমিও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে বইমেলায় ক্রেতা ও পাঠকরা আসতে পারেন সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। গত বছর বইমেলায় ৪৬০টি প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিল, তারা এবারও বইমেলায় অংশ নেবে।
তিনি বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশকরা কিস্তিতে স্টলের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। এবারই প্রথমবারের মতো তাদের এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এর আগে প্রকাশকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হলেও এ বছর প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশকরা যাতে কিস্তিতে ভাড়া পরিশোধ করতে পারেন সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো তাদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টল ভাড়া পরিশোধের সময়সীমাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছর নভেম্বরের শেষে প্রকাশকরা স্টলের জন্য টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এবার সময় বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকাশকদের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এবং আগামী প্রকাশনীর স্বত্তাধিকারী ও বাংলা একাডেমির বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য ওসমান গণি জানান, প্রতিবছর বইমেলার জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। এবারও তা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনার কারণে গতবছর বইমেলা সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি। প্রকাশকরা সারা বছর নানা ধরনের বই প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু আশানুরূপ বই বিক্রি হয় না। ফলে বিক্রেতাদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে। এবারে প্রকাশকদের জন্য সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কয়েক দফা বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
ওসমান গণি বলেন, ‘আমরা মনে করি বইমেলা নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা দরকার। যে একুশে বইমেলা সারাবিশ্বে আমাদের সুনাম এনে দিয়েছে, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবনার প্রতিফলন দেখা যায় না। আমি মনে করি বইমেলার জন্য বছরব্যাপী নানা পরিকল্পনা থাকা দরকার।’ সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।