পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বইমেলার প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও করোনার পরিস্থিতিতে বিগত বছরের মত এবারও পিছিয়েছে অমর একুশে বইমেলা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সংযোজনে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ফলে আগামী ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে মেলার। তবে সংক্রমণ কমে আসলে মেলার সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে মেলা প্রঙ্গন পরিদর্শনে দেখা যায় মেলা প্রস্তুতির চলমান দৃশ্য। সারি সারি স্টলের ক্রমিক বসানোর কাজ শেষ হয়ে স্টল নির্মাণের কাঠামোতে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। অনেক জায়গায় দেখা যায়, ইট, কাঠ, হার্ডবোর্ড আর বাঁশের কাঠামোতে চলছে রঙ দেয়ার কাজ। প্রকাশকেরা নিজেরদের মত করে তৈরি করছেন অস্থায়ী এসব স্টল। অনেকে স্টলে যুক্ত করছেন নানান ধরনের কারুকার্য। তবে ১৩ দিনের মেলা নিয়ে শঙ্কায় প্রকাশকেরা। প্রত্যেকের ঝুলিতেই অগুনিত বই। ঠিকঠাক মেলা না হলে মেলা কেন্দ্রিক এসব বই অবিক্রিত থেকে যাওয়ার আশঙ্কার সঙ্গে রয়েছে মেলায় খরচ হওয়া পুঁজি ওঠানোর আশঙ্কা।
এবারের অমর একুশে বইমেলার লোকসানের কথা উল্লেখ করে এক প্রকাশক বলেন, গতবারের লসটা এবার ভেবেছিলাম পূরণ করতে পারবো। কিন্তু একাডেমির তেরো দিনের সিদ্ধান্তে আমরা শঙ্কা অনুভব করছি। এবারের মেলায় বেশ কিছু বড় প্রডাকশনের বই আনছে তারা। যদি ঠিকঠাক মত মেলা না হয় তাহলে এবারও বড়োসড়ো লসের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে বইমেলা পরিদর্শন করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আসলে আমরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। মেলা করতে পারবো কী পারবো না, একটা দোলাচলের মধ্যে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা আশাবাদী যে, প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করবেন। তিনি আরও বলেন, ১৫ তারিখে শুরু করতে পারবো বলে আশাবাদী। যদি কোভিড সংক্রমণের হার কমে আসে, তাহলে চেষ্টা করবো, মেলার সময় বৃদ্ধি করার জন্য।
মেলার স্টল, প্যাভিলিয়ন, প্রকাশকদের প্রকাশনা, ছাপাখানা সব মিলিয়ে এ এক মহাসমারোহ। গতবছর বইমেলা শুরু হয়েছিলো ১৮ মার্চ থেকে। মেলায় বিলম্ব আর বিধিনিষেধের কারণে লোকসানের সম্মূখীন হয় প্রকাশনীগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।