Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন বই নেই ঢাবি প্রকাশনা সংস্থার

অমর একুশে বইমেলা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাঙালীর প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের আড্ডা জমলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা তরুণ গবেষকদের বিশেষ নজর থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রকাশনা সংস্থার স্টলের দিকে। প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাবি প্রকাশনা সংস্থা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্টল বরাদ্দ পেলেও প্রকাশ করেনি নতুন কোন বই। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করছেন প্রকাশনা সংস্থা থেকে বই প্রকাশের দীর্ঘসূত্রিতাকে। একই বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও। তবে তরুণ প্রজন্মের দাবি দেশের এ প্রাচীন বিদ্যাপীঠ থেকে প্রতি বছর নিয়মিত মানসম্মত বই বের করা সম্ভব হলে তা তরুণ গবেষকদের গবেষণা কাজে ব্যবহার হওয়া ছাড়াও পাঠকের আকাক্ষা পূরণ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থার (বিপণন শাখা) উপ-পরিচালক ভবরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এবছর কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। তবে পাঁচটি বই প্রকাশের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কাজ শেষ হলে মেলার শেষদিকে হয়ত পাঠকরা বইগুলো পেতেও পারেন। এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রকাশনার সংস্থার তথ্যমতে, গত বছর ঢাবি প্রকাশনা সংস্থা থেকে বের হয় ৩টি নতুন বই। ২০১৯ সালে নতুন কোন বই না আসলেও ২০১৮ সালে দুটি, ২০১৭ সালে একটি, এবং ২০১৬ সালে চারটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৫ ও ২০১৪ সালে কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। ১৯৫৭-২০২১ সাল পর্যন্ত ১৮৪টি বই প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা। র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা নিয়ে বরাবরই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে সমালোচনা হয়। একটি বিশ^বিদ্যালয়ের র‌্যাংকিউ নির্ভর করে তার গবেষণার মান ও প্রকাশনার চিত্রের ওপর। এজন্য র‌্যাংকিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে আধুনিক প্রকাশনা সংস্থার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সংস্থার মাধ্যমে বই প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা নতুন বই বের না হওয়ার কারণ। একারণে তরুণ গবেষকরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাজারে বই প্রকাশ করে।

ঢাবি বাংলা বিভাগের মাস্টর্সের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, শতবর্ষে ঢাবি থেকে নতুন নতুন গবেষণা বের হবে এমনটাই আশা করি আমরা। কিন্তু গবেষণার এ বেহাল অবস্থা আমাদের বরাবরই হতাশ করে। আমার মনে হয় প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে কর্তৃপক্ষের। প্রতি বছর নতুন বই আসলে ভালো হতো উল্লেখ করে ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা ভিন্নধর্মী একটি প্রকাশনা। এখানে লেখক সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গে বই প্রকাশ করা হয় না, রিভিউ পেতে হয়। একবছর সময় লাগে। স্বাভাবিকভাবে এখান থেকে পাঠ্য বই, রেফারেন্স বই এবং গবেষণাধর্মী বইগুলো প্রকাশিত হয়। তাছাড়া বইমেলাকে কেন্দ্র করে এখানে বই প্রকাশিত হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অমর একুশে বইমেলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ