Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তারা ২ রাজমিস্ত্রির প্রেমে ঘর ছাড়লেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

রাজমিস্ত্রির প্রেমে পড়ে ঘর ছাড়ে দুই গৃহবধূ। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে এলাকায়। জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালির নিশ্চিন্দায় প্রেমিকদের হাত ধরে ২ গৃহবধ‚র ঘর ছাড়ার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ২ বধ‚র সঙ্গে যে রাজমিস্ত্রিদের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে তা আঁচ করতে পেরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমনকি রাজমিস্ত্রি সুভাষের কিনে দেওয়া ফোনেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন গৃহবধ‚ অনন্যা কর্মকার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিশ্চিন্দার আনন্দনগরে কর্মকার পরিবারের বাড়িটি নির্মীয়মাণ। দোতলা বাড়িটির প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। তার আগে দীর্ঘদিন ওই বাড়ির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন ২ রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখর। মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা সুভাষের সঙ্গে প্রথমে বড় বউ অনন্যা কর্মকারের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে অনন্যার কাছে ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাই বাড়ি ছাড়ার আগে তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে যান ওই যুবক। সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই রাজমিস্ত্রি। এরপর ধীরে ধীরে আরেক রাজমিস্ত্রি শেখরের সঙ্গে ছোট বউ রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে একাধিকবার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ২ বধ‚কে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মনে খটকা লেগেছিল। ২ বধ‚ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর দুয়ে দুয়ে চার করছেন তারা। গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে শ্রীরামপুর যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অনন্যা ও রিয়া। সঙ্গে ছিল রিয়ার ৭ বছরের ছেলে আয়ুষ। তারপর থেকে তাদের খোঁজ পাননি পরিবারের সদস্যরা। অনন্যার কাছে ছিল একমাত্র মোবাইল ফোনটি। বিকালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। রাতে নিশ্চিন্দা থানায় কর্মকার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অনন্যার মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে সুভাষের নম্বর পাওয়া যায়। এরপর সুতিতে সুভাষের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু পরিবারের তরফে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা। হিন্দুস্তান টাইমস।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ