মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাফালের পর এবার আরো এক ভয়াবহ আধুনিক রুশ সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভার সীমান্তে মোতায়েন শুরু করেছে ভারত। নাম এস ৪০০ ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম। ইতিমধ্যেই এটির সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম স্কোয়াড্রন এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেমকে পাঞ্জাব সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। সরাসরি পাকিস্তানের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী সামরিক ঘাঁটিতে এটিকে তৈরি রাখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, পরবর্তী স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা হবে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে। বিশেষত অরুণাচল প্রদেশে চীনের মোকাবিলায়।
৩৫ হাজার কোটি রুপিতে কেনা এই রাশিয়ান মিসাইল সিস্টেমের বাকিটা ভারতে আসবে চলতি মাসের মধ্যেই। আকাশ ও সমুদ্রপথে এর বিভিন্ন অংশ আসতে শুরু করেছে।
এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকেই শত্রুপক্ষের বিমান কিংবা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে টার্গেট করতে সক্ষম। চার রকম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আছে এই সিস্টেমে। শর্ট রেঞ্জ ৪০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ১২০ কিলোমিটার এবং তার ওপর ২৫০ কিলোমিটার এবং ৪০০ কিলোমিটার। ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান এসেছে বিমান বাহিনীর জন্য। রাশিয়া থেকে ৪ স্কোয়াড্রন এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ইতিমধ্যেই এসে গেছে। ছয়টি অত্যাধুনিক পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিনও দেয়া হবে নৌবাহিনীকে। সবমিলিয়ে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর পর্ব একপ্রকার ক্লাইম্যাক্সে। পাশাপাশি একঝাঁক প্রকল্পও নেয়া হয়েছে, যেগুলো আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের আওতায়। অর্থাৎ এবার থেকে ভারতেই হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও উপকরণ উৎপাদন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের দেশে পৌঁছনো। রাশিয়ান এই ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কেনা সত্ত্বেও মার্কিন প্রশাসনের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভারত পড়ছে না। ভারতীয় পক্ষ মনে করছে, এটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ঠিক এই একই সরঞ্জাম আমদানি করে তুরস্ক মার্কিন রোষে পড়েছে। তুরস্কের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। চীনকে ঠেকাতে ভারতের মতো শক্তিধর দেশের পাশে থাকা দরকার, এই উপলব্ধি থেকেই ভারত সম্পর্কে মার্কিন নীতি যথেষ্ট নরম বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র : বর্তমান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।