গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনশ্রীতে অছিম পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা হলেন- অটোরিকশাচালক (৩৫) ও যাত্রী ফাতেমা আক্তার (৪০)। আহতরা হলেন- নিহত ফাতেমা আক্তারের দুই ছেলে শাকিব (১৭) ও শাকির (৮)।
ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সচালক আরিফ বলেন, বনশ্রীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা আমার অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের তুলে দেয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। অটোরিকশার চালক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর নারী যাত্রী হাসপাতালে আনার পর মারা যান।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা বলেন, বনশ্রীর ফেমাস হাসপাতালের সামনে অটোরিকশা ও অছিম পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক মারা যায়। আহত একই পরিবারের তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ফাতেমা আক্তার নামে নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাস জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) বাচ্চু মিয়া বলেন, জানতে পেরেছি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে উত্তরায় বোনের বাসায় যাচ্ছিলেন নিহত ফাতেমা আক্তার। বনশ্রীতে একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক মারা যায়। তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে ফাতেমা আক্তারও মারা যায়।
তিনি চিকিৎসকের বরাতে বলেন, নিহত ফাতেমা আক্তারের দুই ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বাচ্চু মিয়া বলেন, অটোরিকশাচালকের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।