মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর সান জুয়ান কাউন্টির শেরিফ শেন ফেরারি৷ গত বছরের ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার বাবা মারা যাওয়ার পর পারিবারিক মরদেহ সৎকার প্রতিষ্ঠান ফার্মিংটন ফিউনারেল হোমও এখন তিনিই চালান৷
নিজের প্রতিষ্ঠানে মরদেহ সৎকারের পাশাপাশি কাউন্টি শেরিফের দায়িত্বও পালন করছেন শেন ফেরারি৷ কাউন্টির আইন-শৃঙ্খলা দেখভালেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হয় তাকে৷ এত মৃত্যুর মধ্যেও সামনেই আসছে বড়দিন৷ ফার্মিংটন ফিউনারেল হোমের বাইরেও আলোকসজ্জা করা হয়েছে৷ সৎকার কেন্দ্রের মালিক এবং শেন ফেরারির বাবা ভিন্স ফেরারিও গত ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷
নিউ মেক্সিকোতে করোনায় মৃতদের মরদেহ একটি রেফ্রিজারেশন কুলারের ভিতরে তাকের মধ্যে রাখছেন শেন ফেরারি৷ অন্য মরদেহ থেকে করোনায় মৃতদের মরদেহ আলাদা করে রাখতে হবে৷ এজন্য সেগুলোকে লাল ট্যাগ দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে৷
কোভিড আক্রান্ত হয়ে সান জুয়ান আঞ্চলিক মেডিক্যাল সেন্টারের আইসিইউতে দীর্ঘদিন লাইফ সাপোর্টে থাকা এক ব্যক্তির লাইফ সাপোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্বজন৷ এরপর তার মরদেহ সৎকারকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন ফার্মিংটন ফিউনারেল হোমের কর্মী জোয়ানা মার্টিনেজ৷ ডার্লা কনের স্বামী কোভিড আক্রান্ত হয়ে শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন৷ তার মরদেহ সৎকারের জন্য ফার্মিংটন ফিউনারেল হোমে নিয়ে এসেছেন ডার্লা৷ প্রিয়জনকে হারানোর শোকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পান না শেরিফ শেন ফেরারিও৷
জোয়ানা মার্টিনেজ একটি মোবাইল রেফ্রিজারেশন ইউনিটে করোনায় মৃতের মরদেহ নিয়ে এসেছেন সৎকারকেন্দ্রে৷ সব কাগজপত্র ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর মরদেহ আলাদাভাবে চিহ্নিত ও সৎকার করা হবে৷
ধারণক্ষমতার বেশি মরদেহ জমা হচ্ছে সৎকারকেন্দ্রের ফ্রিজিং কক্ষে৷ কর্মীরা দিন-রাত কাজ করেও হিমশিম খাচ্ছেন৷ নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ও করোনা আক্রান্তের মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় সৎকারের জন্য সময়ও প্রয়োজন৷ নতুন মরদেহ রাখার জন্য জায়গা প্রয়োজন৷ ফলে পুরাতন মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চুল্লিতে৷ জোয়ানা মার্টিনেজও তার পরিবারের সদস্যদের কোভইড মহামারিতে হারিয়েছেন৷
মরদেহ চুল্লিতে পোড়ানো শেষ হওয়ার পর সে ছাই মৃতের প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দেন জোয়ানা৷ অবশ্য এত মৃত্যুর কারণে সৎকারে হিমশিম খাওয়ায় অনেক পরিবারকে এক মাস পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ শেন ফেরারি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন৷ তিনি এ মাসেই টিকা নেবেন৷ যারা টিকা নিতে চাচ্ছেন না, তাদের সবাইকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা আরেকবার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ সুত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।