Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মথুরার শাহী ঈদগাহে ‘নামাজ’ নিষিদ্ধ করার আবেদন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:১৯ এএম

ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার একটি আদালতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি কমপ্লেক্সের কাছে অবস্থিত শাহী ঈদগাহে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এবিপিলাইভ ডটকম জানিয়েছে সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন সেখান থেকে ঈদগাহ সরানোর এবং উক্ত জমি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টকে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে আদালতে গেছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী রাজেন্দ্র মহেশ্বরী বলেন, তিনি আবেদনে আরও দাবি করেছেন যে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি কাঠামো ভেঙে পড়ার পর প্রথমে জুমার নামাজ শুরু হয় এবং পরে ধীরে ধীরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। তিনি এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন।
মহেশ্বরী বলেন, সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন জ্যোতি সিং-এর আদালতে চলমান মামলায় বাদী ঈদগাহের আশপাশের রাস্তা অবরোধ করে নামাজ পড়ার অভিযোগের বিষয়েও আপত্তি তুলেছেন। সম্প্রতি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি নিয়ে বিতর্ক বৃদ্ধির মধ্যে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, ৫ জানুয়ারি দায়ের করা আবেদনের শুনানি হতে পারে।
গত ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে মথুরায় শাহী ঈদগাহ মসজিদের অভ্যন্তরে কৃষ্ণের বিগ্রহ স্থাপনের কর্মসূচি নিয়েছিল চারটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, যাদের পিছনে ছিল বিজেপি’র একাংশ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এ ক্ষেত্রে তাদের ‘বিশ্বাস’ শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান ওই মসজিদের অভ্যন্তরেই।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি নির্মাণ ন্যাস, নারায়ণী সেনা এবং শ্রীকৃষ্ণ মুক্তি দল— এই চারটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কয়েকমাস আগে থেকেই প্রচারণা চালিয়ে আসছিল, মিছিল করে গিয়ে তারা মথুরার শাহী ঈদগাহ মজজিদে ঢুকে ‘জলাভিষেক’ করে ‘শুদ্ধিকরণ’ করবে। এরপরে সেখানে কৃষ্ণের একটি বিগ্রহ স্থাপন করবে। ওই কর্মসূচির অনুমোদন চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদনও করেছিলেন ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুলিশ প্রশাসন অবশ্য ওই আবেদন খারিজ করে ৬ ডিসেম্বর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা ও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, অযোধ্যা ও কাশীতে গ্র্যান্ড মন্দির তৈরি হচ্ছে, এবার মথুরার পালা।
ভারতে ধর্মস্থানের চরিত্র পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে যে সম্প্রদায় যে ধর্মস্থানে উপাসনা করেন, তা পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু বিজেপি নেতা রবীন্দ্র কুশওয়া এমপি সম্প্রতি বলেন, মথুরায় মন্দির হবেই। এ জন্য ধর্মস্থান পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞার আইন পরিবর্তন করা নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে কিছুই নয়।
মসজিদের জায়গায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দির গড়ার অনুমতি চেয়ে হিন্দুত্ববাদীদের করা মামলা ধর্মস্থানের চরিত্র পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞা আইনে এর আগে খারিজ করেছে আদালত। কিন্তু সম্প্রতি মথুরার একটি আদালত এ সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করে সরকার ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে বলেছে। সূত্র : পার্সটুডে



 

Show all comments
  • jack ali ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
    May Allah's curse upon BJP and RSS. O'Allah wipe out them from Your World because they have transgressed in every way. Ameen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ