নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২২ গজে দাপট দেখানো বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র তার জীবনকে কেবল ক্রিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। করপোরেট জগতে সাকিব আল হাসানের পদচারণা বেশ আগে থেকেই। এবার ব্যাংকিং খাতে যুক্ত হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদে আবেদন করেছেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার।
পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় সাকিব আল হাসান ও তার মা যুক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে আমরা তাদের ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সাকিবের মতো একজন তারকাকে উদ্যোক্তা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের। এখনই আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছে। কেউ যদি উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নিতে চান তাকে সর্বনিম্ন দুই শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে হবে।
এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানকে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ব্যাংকের মালিকানা পেতে সাকিব আল হাসান ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি হয় সাকিব আল হাসানের। এরপর এ খাতে তিনি আর থেমে থাকেননি। স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কেবল দেশে নয় দেশের বাইরেও বড় বড় বিনিয়োগ রয়েছে সাকিব আল হাসানের।
এ ছাড়াও দেশের শেয়ারবাজারে সাকিব আল হাসান একটি আলোচিত নাম। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবালের উপদেষ্টা হয়েছেন। চলতি বছরে মে মাসে একটি ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদন নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
সম্প্রতি স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ও নাম লিখিয়েছেন সাকিব। দেশে বৈধভাবে স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার আমদানি এবং বিক্রির জন্য ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়েছেন তিনি। সর্বোপরি ক্রিকেটার পরিচয়ের পাশাপাশি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন তারকা এ ক্রিকেটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।