নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ম্যাজিকে ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। মঙ্গলবার বিকালে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের শেষ চারের প্রথম ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিলো আবাহনী। বিজয়ী দলের হয়ে কলিন্দ্রেস ও নাবীব নেওয়াজ জীবন একটি করে গোল করেন।
ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। কোস্টারিকার হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন। বাংলাদেশে তিনি বেশ পরিচিত। কারণ ২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ঘরোয়া আসরে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। ঢাকার মাঠ মাতিয়ে এক মৌসুম পর বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান এই কোস্টারিকান। দুই মৌসুম পর ফের বাংলাদেশে এসেছেন বসুন্ধরা কিংসের প্রতিদ্ব›িদ্ব ক্লাব ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলতে। এখন পর্যন্ত আবাহনীকে দারুণ ছন্দে রেখেছেন তিনি। এক কলিন্দ্রেসই বদলে দিচ্ছেন ঢাকার আকাশী-হলুদ শিবিরকে। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টেই তার কারিশমা দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা। নিজে গোল করছেন, আবার গোল করাচ্ছেন। স্বাধীনতা কাপে আগের ম্যাচে দুই গোল করেছেন। সতীর্থদের দিয়ে গোলও করিয়েছেন। আর ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নিজে করেছেন এক গোল, জীবনকে দিয়ে করালেন আরেকটি। বলা চলে মঙ্গলবার কলিন্দ্রেস ঝলকেই কুপোকাত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচের শুরু থেকেই সাইফকে চাপে রেখে খেলতে থাকে আকাশী হলুদ শিবির। ২৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে বাড়ানো বলে আবাহনীর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন বল নিয়ে বক্সের মধ্যে প্রবেশ করছিলেন। সেই মুহূর্তে ফাউলের শিকার হন তিনি। রেফারি মিজানুর রহমান ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান। বক্সের একটু সামনে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস (১-০)। সাইফ স্পোর্টিংয়ের ডিফেন্ডারদের তৈরি করা মানব দেয়াল ও তাদের গোলরক্ষক- কোনো কিছুই বাধা হয়ে উঠতে পারেনি কলিন্দ্রেসের সামনে। সুনিপুণ শটে সবাইকে পরাস্ত করে বল জালে প্রবেশ করান তিনি। উল্লাসে মেতে উঠেন গ্যালারিতে আবাহনী সমর্থকেরা। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়ে ম্যাচের শেষ দিকে আরেকটি গোল আদায় করে নেয় আবাহনী। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে সাইফ স্পোর্টিং ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গোল হজম করে হতাশ হয়ে পড়েন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। মেজাজ হারিয়ে অযথা ফাউল করে হলুদ কার্ডও দেখেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সাইফের মারাজ। এমফোনের করা থ্রো ইন বক্সের মধ্যে ফ্রি বল পেয়ে যান মারাজ। ফাকা জায়গায় সুন্দর বল পেয়েও তিনি গোল করতে পারেননি। এর খেসারত দিতে হয় সাইফ স্পোর্টিংকে। ৮২ মিনিটে কলিন্দ্রেসের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন (২-০)। গত মৌসুমে ইনজুরির জন্য জীবন অনেকটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। এই মৌসুমে মাঠে ফিরে ইতোমধ্যে দুই গোল করেছেন জাতীয় দলের এক সময়ের নির্ভরযোগ্য এই স্ট্রাইকার। বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।