মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসি-র নামের নতুন ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়ায় গিয়ে মমতা বলেছেন, টিএমসি মানে ‘টেম্পল, মস্ক, চার্চ’। নিজের দলের সঙ্গে এভাবেই মন্দির-মসজিদ-গির্জাকে জুড়ে দিয়েছেন মমতা। গোয়ায় দলের কর্মীদের কাছে ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বলেছেন, আমরা বিজেপি-র সঙ্গে লড়াই করি। আপনারা যদি মনে করেন, আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে, তাহলে পিছনে তাকাবেন না। আমাদের জেতান।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘আমরা এখানে ভোট ভাগ করতে আসিনি। বিজেপি-কে রুখতে এসেছি। বিজেপি-র বিকল্প হিসাবে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। আমরা এখানে লড়ব, মরব, কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাব না’।
গোয়ায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ২৫ শতাংশের মতো খ্রিস্টান এবং আট দশমিক ৩৩ শতাংশ মুসলিম আছেন। মুসলিমদের ভোট কংগ্রেসের দিকেই যায়। খ্রিস্টানদের একটা বড় অংশের ভোটও কংগ্রেস পায়। প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্তের মতে, ‘মমতা এক্ষেত্রে বিজেপি-ক অনুসরণ করছেন। কিন্তু তিনি এই কথাটা বুঝতে পারছেন না, মন্দির-মসজিদের রাজনীতিতে বিজেপি-র ধারেকাছে কেউ আসতে পারবে না’।
আশিস মনে করেন, ‘মানুষের প্রতিদিনের সমস্যা, জীবনধারণের সমস্যা, রাজ্যের সমস্যার কথা না তুলে এই সব মন্দির-মসজিদ-চার্চের প্রসঙ্গ তুলে ভুল পথে যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। তার লক্ষ্য মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ভোট। আশিস বলেছেন, এই ভোট নিজেদের দিকে আনতে পারলে কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে ঠিকই, কিন্তু তৃণমূলও খুব একটা ভালো জায়গায় পৌঁছতে পাবে না। করণ ওই পিচে বিজেপি-র মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
গোয়ায় এনসিপি-র নেতা ও বিধায়ক আলেমাও চার্চিল ও তার মেয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একসময় চার্চিল ছিলেন কংগ্রেসে। পরে এনসিপি-তে যোগ দেন। তিনিই এনসিপি-র একমাত্র বিধায়ক। এতদিন কংগ্রেস থেকে বিধায়ক, নেতাদের ভাঙাচ্ছিল তৃণমূল। এবার তারা এনসিপি-কেও ভাঙালো। দুই দিনে চারটি জনসভা করছেন মমতা। এছাড়া দলের কর্মীদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেছেন। এই নিয়ে দুই মাসে দ্বিতীয়বার গোয়া গেলেন তিনি।
গোয়ায় মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করেছে তৃণমূল। গোয়ায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ-ও লড়ছে। আপের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক খুবই ভালো। মমতা দিল্লি এলেই সাধারণত কেজরিওয়াল তার সঙ্গে দেখা করেন। তাই গোয়ায় আপ ও তৃণমূলের জোট নিয়ে জল্পনা আছে। তবে আপ বা তৃণমূল কেউই জোটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।