বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অপহরণের তিনদিন পর ঈশ্বরদী থানা পুলিশ দুর্গন্ধযুক্ত ১০ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে নাইমুল ইসলাম হৃদয়(২৪) নামের এক যুবকের। সে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপ পুর গ্রামের বাসিন্দা মজনু হোসেন মোল্লার ছেলে এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র ও বিকাশ ব্যাবসায়ী। জানাগেছে, গত ১০ ডিসেম্বর'২১ রুপপুর চারাবটতলা থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে আসা অপহরণকারী দুর্বৃত্তরা হৃদয়কে তুলে নিয়ে যায় এবং তার মোবাইল ফোন দিয়ে পরিবারের কাছে ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ আকারে জানানো হলে তাকে উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হয় রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আতিকের ওপর।দায়িত্ব প্রাপ্তির পর থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধ্যমত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ । কিন্তু জীবীত উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। অবশেষে তিনদিন পর টেবুনিয়া থেকে ধৃত সন্দেহ ভাজন আসামী হোসেন আলীর দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী গতকাল ১৩ ডিসেম্বর রাত সোয়া নয়টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের চাঁদ আলীর বাড়ীর একটি ঘরের মেঝে খুঁড়ে অপহৃত যুবক হৃদয়ের দুর্গন্ধযুক্ত ১০ টুকরা লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানাগেছে, নিহত হ্রদয় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরী দেয়ার জন্য আসামী হোসেন আলীর কাছ থেকে সম্প্রতি ৮০ হাজার টাকা নেয় কিন্তু চাকরী দিতে ব্যার্থ হয়। হোসেন আলী তার দেয়া টাকা বারবার ফেরৎ চাইলে হ্রদয় ফেরৎ দেয়না। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক ভাড়াটে খুনিসহ মাইক্রোবাসে তুলে হ্রদয়কে অপহরণ করে তার ভাড়াবাড়ীতে নিয়ে আটকে রেখে সুবিধাজনক সময়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ১০ টুকরো করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। আসামী খুনি অপহরণকারীর বাড়ি পাবনায়। এসংবাদ লিখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি তবে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।