Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘অস্ত্র দিলেও ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:০৬ এএম

ইউক্রেনকে ৩০টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম এবং ১৮০টি মিসাইল দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত অক্টোবরে এই অস্ত্র সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র লে. কর্নেল অ্যান্টন সেমেলরথ। তবে অস্ত্র দিলেও ইউক্রেনে কোনো সৈন্য পাঠাবে না বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

এদিকে ইউক্রেন আক্রমণ করলে রাশিয়াকে ভয়ানক মূল্য দিতে হবে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ঘটনায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইউক্রেন আক্রমণ করা রাশিয়ার জন্য ‘কৌশলগত ভুল’ হবে বলে মন্তব্য করেছে জোটটি।
তবে মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে একটি কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া। জো বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের একটি ভিডিও কনফারেন্স হওয়ার পর এই তথ্য জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর এএফপি, রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।
লে. কর্নেল অ্যান্টন সেমেলরথ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে প্রতিশ্রুত ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সহায়তার অংশ হিসেবে গত অক্টোবরে কিয়েভকে ৩০টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম এবং ১৮০টি মিসাইল সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় দেশটির পাশে থাকবে।
অস্ত্র সহায়তা দিলেও চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে সেনা না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার পর বুধবার এই ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় গত শনিবার বাইডেন বলেন, রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের ক্ষেত্রে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলসেনা পাঠানোর সম্ভাবনা কখনোই আলোচনায় ছিল না। তবে ইউক্রেনে সেনা না পাঠালেও ন্যাটো সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র সেনা মোতায়েন করবে। যদি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে ৯টি দেশে সেনা পাঠানো হবে। দেশগুলো হলো- বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক ও এস্তোনিয়া।
এ সময় বাইডেন জানান, তিনি পুতিনকে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়, তাহলে দেশটিকে ভয়ানক মূল্য দিতে হবে। দেশটিকে বিধ্বংসী অর্থনৈতিক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বলেছি, তিনি যদি ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হন, তার দেশের অর্থনীতির জন্য সেই পরিণতি হবে বিধ্বংসী। ইউক্রেনে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হবে।’
এদিকে যুক্তরাজ্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লিভারপুল শহরে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। জার্মানির হাতে জোটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগে এটি যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে সর্বশেষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়, ইউক্রেন সংকট নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা। সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ইউক্রেন আক্রমণ করা রাশিয়ার জন্য হবে ‘কৌশলগত ভুল’। এ জন্য মস্কোকে ‘মারাত্মক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও চীনের ‘কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে’ পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ও বর্তমানে পাশ্চাত্যমুখী ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে রুশ-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যে এ সম্মেলন হচ্ছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ