মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিএসএফের এক্তিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের ভিতরে ৫০ কিলোমিটার করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল পাঞ্জাব সরকার। পাঞ্জাব সরকারের দায়ের করা মামলায় প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল শীর্ষ আদালত। শনিবার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঞ্জাব সরকার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি আর্জি দাখিল করেছে। চার সপ্তাহ পর সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য আসবে।কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩১ অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কার্যক্ষেত্রের এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল গত ১১ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব-সহ কয়েকটি রাজ্য। এই দুই রাজ্যের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই একতরফা বিজ্ঞপ্তি জারি করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হেনেছে। রাজ্যগুলোর বক্তব্য, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপর দিয়েছে সংবিধান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত তার পরিপন্থী।
পাঞ্জাব সরকার এবং সরকারের আইনি প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়ে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু টুইট করেছেন, “রাজ্যগুলির গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো এবং স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার জন্য সংবিধানের মূল নীতিগুলি ধরে রাখার লড়াই শুরু হয়েছে।” এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল। এমন কী এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্য সরকারও। আর এই ইস্যুতে এ রাজ্যে কংগ্রেসকেও পাশে পাচ্ছে তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এই বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
অন্যদিকে, ক’দিন আগে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ -এর এক্তিয়ার ভুক্ত এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাল্টা রাজ্যগুলির দাবি, এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বাড়বে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও সেসব নস্যাৎ করে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, এর ফলে রাজ্যগুলির এই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই উত্তরের পরেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, “কেন্দ্রের এই যুক্তির কোনও মানে নেই। এটা একবারই অর্থহীন। বিএসএফ-এর কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, চোরাচালান রোখা। আইনশৃঙ্খলা দেখা তাদের কাজ নয়। সূত্র : নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।