Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘কালবেলা’

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৯ এএম

‘আধিয়ার’ খ্যাত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুলের স্বপ্নের চলচ্চিত্র ‘কালবেলা’। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই সিনেমাটি নিজের মতো করে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। সব ঠিক ছিল, ২০১৮ সালে শুটিং শুরু করে প্রায় শেষও করেছিলেন তিনি। আর দু-চার দিন কাজ করতে পারলেই শেষ হতো শুটিং পর্ব। কিন্তু পুরো সিনেমা সম্পন্ন করার আগেই মারা যান এই গুণী নির্মাতা। পরবর্তী সময়ে বাকি অংশের কাজ শেষ করেন তার সহধর্মিণী ও এই সিনেমার প্রযোজক মোবাশ্বেরা খানম। নির্মাতা স্বামীর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজটি তিনি সম্পন্ন করেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে।

আজ (শুক্রবার) দেশের তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘কালবেলা’। এরমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স এর মূল শাখা (বসুন্ধরা সিটি), যমুনা ব্লকবাস্টার ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে দর্শকরা সিনেমাটি দেখতে পারবেন।

এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হয়েছে ‘কালবেলা’র বিশেষ প্রদর্শনী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের গুণী নির্মাতা থেকে চলচ্চিত্র সমালোচকরা। ছবিটি দেখে এদিন সবাই ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০০১ সালে আইন ও সালিশ কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত ‘নারীর ৭১ ও যুদ্ধ পরবর্তী কথ্য কাহিনী’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই চলচ্চিত্রটির গল্প আবর্তিত।

তৎকালীন সদ্য পাস করা সানজিদা নামের একজন শিক্ষিত নারীর জীবনের ছায়া পড়েছে এতে। মাস্টার্স করা একটি ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করে সে। ছেলেটা খুলনা জুট মিলে অফিসার পদে চাকরিতে যোগ দেয়। বিয়ের দুই-আড়াই মাসের মাথায় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানী সেনারা অন্য অফিসারের সঙ্গে সানজিদার স্বামীকে গ্রেফতার করে। পাগলের মতো স্বামীকে খুঁজতে থাকে। শেষে স্বামীর পরিহিত গায়ের জামা দেখে তাকে শনাক্ত করে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, স্বামীর মৃত্যু। এরমধ্যে সানজিদা অন্তঃসত্ত্বা। প্রসবকাল খুব কাছাকাছি। যুদ্ধ শেষে সন্তানসহ স্বামীর বাড়িতে যায়। শ্বশুর বাড়িতে তাদের অনানুষ্ঠানিক বিয়ে। পাকসেনাদের হাত থেকে নিজের সতীত্ব রক্ষা এবং সানজিদার কোলের সন্তানের যথার্থ পিতৃ পরিচয়সহ অনেক নির্দয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। এ যেন যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকেও ভয়ঙ্কর। এমনি হৃদয়স্পর্শী গল্প নিয়ে এগোতে থাকে চলচ্চিত্র ‘কালবেলা’।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘কালবেলা’। সিনেমাটি গল্প ২০০১ সালে আইন ও সালিশ কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত নারীর ৭১ ও যুদ্ধপরবর্তী কথ্যকাহিনি থেকে নেয়া। সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্র মতিন ও সানজিদা। মতিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশির আর সানজিদা চরিত্রে তাহমিনা অথৈ। পরিচালকের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘আকার’ থেকে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।

সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্র মতিন ও সানজিদা। মতিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশির আর সানজিদা চরিত্রে তাহমিনা অথৈ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুম বাশার, মিলি বাশার, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লুৎফর রহমান জর্জ, শেখ মাহবুবুর রহমান, সায়কা আহমেদ, জুলফিকার চঞ্চল, কোহিনুর আলম, তানভীর মাসুদ ও আরও অনেকে। পরিচালকের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘আকার’ থেকে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ