প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির একটি ফোনালাপ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চারদিকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, মাহিকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলেছেন মুরাদ। মাহি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। এই ফোনালাপের একটি অংশে চিত্রনায়ক ইমনের কণ্ঠও শোনা যায়। তাই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে চলে আসছে ইমনের নামও। কেননা প্রতিমন্ত্রী ইমনের কাছে ফোন দিয়ে তার পরে মাহির সঙ্গে কথা বলছিলেন।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অডিও ক্লিপটি সঠিক। অপর প্রান্তে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তবে ঘটনাটা দুই বছর আগের। একটি ছবির মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে ফোন দেন প্রতিমন্ত্রী।’
ফোনালাপটি নিয়ে ইমন নিজের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘‘আমি খুবই হতাশ হচ্ছি যারা আমাকে চেনেন ও জানেন তারাও আজেবাজে মন্তব্য করছেন। এত বড় একজন মন্ত্রী যখন আমাকে কল দেন আমি তো তাকে ইগনোর করতে পারি না। সবাই তো অডিও ক্লিপটি শুনেছেন। সেখানে মানুষের গলার স্বর শুনলেও তো বোঝা যায় কে কোন অনুভূতি নিয়ে কথা বলছেন। আমাকেই ওই রাতের আগের দিনও তিনি কল দিয়েছিলেন। আমি ধরতে পারিনি। ওইদিন রাতে ওয়াজেদ আলী সুমন ভাইয়ের ‘ব্লাড’ সিনেমার মিটিং করছিলাম। তখন উনি (প্রতিমন্ত্রী) হঠাৎ ফোন দেন। অডিওতে কিন্তু আছে উনি প্রথমেই বলেছেন, ‘তুই ফোন ধরস নাই কেন?’ আগের দিন ফোন ধরিনি বলে রেগেছিলেন। একজন মন্ত্রী বারবার ফোন দিচ্ছেন আমি না ধরে তো থাকতে পারি না। তাই অনুষ্ঠানের মধ্যেই ধরেছি। বাকি আলাপ তো সবাই শুনেছেন। উনার আলাপ শুনেই কিন্তু আমি বাধ্য হয়ে বলেছি, ‘হ্যাঁ, ভাই আসতেছি। দেখছি ভাই’। খারাপ কিছু কিন্তু বলিনি।
উনি কল দেওয়ার অনেক সময় পার হয়ে গেছে। আমি কিন্তু বারবার বলছি, ‘দু’মিনিট ভাইয়া, নামছি’। আমি চাইছিলাম যেন উনি ফোনটা রাখেন। মাহির সঙ্গে কি আলাপ হয়েছে সেটা কিন্তু আমি জানতে পারিনি। কারণ আমি মাহির হাতে ফোন দিয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে আলাপ করছিলাম। মাহিকে যে এভাবে প্রতিমন্ত্রী গালিগালাজ করেছেন, আমি জানতাম না। মাহির হাতে ফোনটা দিয়ে আমি তখন ডিরেক্টরের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা বলছিলাম। প্রতিমন্ত্রীর ফোনটি আমার নম্বরে এলেও আমার সেটে রেকর্ডিং অপশনই নেই। আর মাহিও তো একজন আর্টিস্ট। নিশ্চয়ই তিনি সহজভাবে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে তিনি ডিসকাস্টডও সেভাবে করেননি।’’
এই চিত্রনায়ক আরো বলেন, এখন অডিওটা শুনে আমি জানতে পারলাম সেদিন মাহি কতোটা বিব্রত ছিলে। সত্যি কথা বলতে ওই মুহূর্তে ওই কলটা আসলে আমি আশা করিনি। আমি বা মাহি কেউই কিন্তু যাইনি পরে। আমি শুধু ওই সিচুয়েশনটা ট্যাকেল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ এখন যে যতো কথাই বলুক এত বড় একজন মন্ত্রী কল দিলে তার সঙ্গে বেয়াদবি করা যায় না, তাকে যা খুশি তা বলা যায় না। ভেবেছিলাম একটু পর সব ভুলে যাবেন। হয়েছিল তাই। এনিয়ে তিনি আর পরে কোনো কথা বলেননি।’’
ইমন জানান, সেদিনের মিটিং হয়েছিল বনানীর একটি রেস্তোঁরায়। ঘটনা ২০২০ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের। এরপর ইমন ও মাহি দুজনই যার যার বাসায় চলে যান। এর কিছুদিন পরই শুরু হয় করোনার প্রকোপ। লকডাউনের কারণে সবার মতো ঘরবন্দি হয়ে যান তারাও। ইমন মনে করেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেকোনও আর্টিস্টকে ফোন দিতেই পারেন। কিন্তু এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তার দাবি, তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।