পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার সীমাবদ্ধ থাকবে। আশা করি, তারা সীমাবদ্ধতার বাইরে যাবে। আমাদের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চাইতেই পারে। তারা যদি আমাদের বিষয়ে পরামর্শ দেয়, সহযোগিতা করতে চায় তাহলে ভাল কথা। তবে আমাদের আভ্যন্তরীন বিষয়ে সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে তারা তাদের ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও তারা তাদের সীমাবদ্ধতার বাইরে যাবে না। আমরা আমাদের নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু ও সুন্দর করবো তা আমাদের নিজস্ব চিন্তার বিষয় এবং তা আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। সেজন্য প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজ নিজ দায়িতত্বশীলতার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে এবং দেশবাসীকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিবে।
সম্প্রতি ইনকিলাবের সাথে একান্ত সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, জাতীয় নির্বাচন, দলীয় কর্মকান্ড, কেন্দ্রীয় সম্মেলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের এই নীতি-নির্ধারকেরসাথে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে দলের চিন্তা ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচন চাই। কোন দল নির্বাচনে না আসুক তা আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের আহবান জানাই। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের প্রতিও আমি আহবান জানাবো তারাও যেন সে বিষয়ে যথাযত উদ্যোগ নেন।
দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের বিষয়ে সভাপতিমন্ডলীর এ সদস্য বলেন, আপাতত আমরা কেন্দ্রীয় সম্মেলনের বিষয়ে কোন চিন্তা ভাবনা করছি না। সকল জেলা ও উপজেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। দল গুছিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তামন কমিটির মেয়র পূর্ণ হবে আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে। তাই আপাতত এ নিয়ে তেমন কোন চিন্তা ভাবনা নেই।
জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন জোটের আকার বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা ছোট হবে কী না এ বিষয়ে আব্দুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার চেতনা ধারণ করা, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রচেষ্টায় যে কোন দল আমাদের সাথে কাজ করতে পারে। তবে এখনই বলা যাবে না জোট বাড়বে নাকি কমবে।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন নির্বাচনে ৫ম ধাপের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। গত তিন ধাপের নির্বাচনে দলের প্রচুর বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং রেকর্ড সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। তৃণমূলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারও করা হয়েছে অনেক। গণহারে বহিষ্কারের বিষয়ে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আব্দুর হরমান বলেন, বহিষ্কারের এখতিয়ার একমাত্র কেন্দ্রীয় সংগঠনের হাতে। তাই সবাইকে আন্তরিকভাবে বলবো, তৃণমূল থেকে যেন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়, সে বিষয়ে নিরৎসাহিতও করি। সাময়িক অব্যহতি দিয়ে যেন কেন্দ্রে সুপারিশ করেন তৃণমূল নেতারা। কারণ কেন্দ্রকে অবহিত না করে সরাসরি বহিষ্কার করলে পরে বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তি আপিল করলে তা টিকবে না। তাই বহিষ্কারের উপযুক্ত কোন ঘটনা যদি ঘটে তাহলে সাময়িক অব্যহতি দিয়ে কেন্দ্রে সুপারিশ করলে সংগঠনর শৃঙ্খলা সুন্দর হয়।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া যাদের বহিষ্কার করেছে তৃণমূল তা চূড়ান্ত বিচারে টিকার সম্ভাবনা কম। বিদ্রোহীর বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অভিলাষ থেকে বিদ্রোহী হচ্ছেন অনেকে। তাই দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন। এজন্য দলের তরফ থেকে যে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে তা সকলের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
তৃণমূলের মনোনয়ন বাণিজ্য ও নাম কম জনপ্রিয়দের নাম পাঠানোর বিষয়ে আব্দুর রহমান বলেন, হয়তো বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। আমরা প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে প্রমাণ নেই। আর নামের বিষয়ে আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা তিনটি তালিকাই বিবেচনা করি। এর বাইরেও যদি কেউ মনে করেন তিনি অন্যদের চাইতে বেশি জনপ্রিয় তার সরাসরি ফরম কেনার সুযোগ ছিল। তাই এটা তেমন সমস্যা ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।