নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে। একজনের পর আরেকজন পাচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। নিয়মের বেড়াজালে সবকিছুর পরিবর্তন আসছে ঠিকই, কিন্তু এক জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন। আর তা হচ্ছে অ্যাডহক কমিটি। কিছুতেই যেন অ্যাডহক সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে নির্বাচনমুখি হতে পারছে না টেনিস ফেডারেশন। গত একযুগ ধরে এই ফেডারেশন চলছে অ্যাডহক কমিটির অধীনে। দেশের অন্যসব ক্রীড়া ফেডারেশনে গণতন্ত্র এলেও, টেনিসে তা আসেনি। তাই ক্রীড়াবোদ্ধাদের মতে অ্যাডহকের যাতাকলে পিষ্ট শুধু ফেডারেশনই নয়, বাংলাদেশের টেনিসও!
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গন ঢেলে সাজানো হলেও নব্বই দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে অ্যাডহক সংস্কৃতি। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর গণতন্ত্র ফেরাতে ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনের প্রথা শুরু হলে অনেক ফেডারেশন নির্বাচন পদ্ধতিতে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। তবে ব্যতিক্রম একমাত্র টেনিসই।
টেনিস ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০৪। চার বছর মেয়াদী কমিটি মেয়াদউত্তীর্ণ হয় ২০০৮ সালে। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েও তা আয়োজন করতে পারেনি। ২০০৮ সালে কিছ্ ুআইনী প্রক্রিয়া চলার কারণে নির্বাচন এক পর্যায়ে স্থগিত করতে হয় এনএসসিকে। ফেডারেশন চালাতে ২০০৯ সালে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে তারা। তবে একযুগ পেরিয়ে গেলেও আর নির্বাচনের দেখা নেই টেনিস ফেডারেশনে। অ্যাডহকের পর অ্যাডহক কমিটি দিয়েই চলছে এখানকার কার্যক্রম।
২০০৯ সালের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন শাহরিয়ার আলম এমপি, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ কারেন। ২০১৪ সালে আরেকটি অ্যাডহক কমিটি হয় সেই কমিটির সম্পাদক হন এনএসসির তৎকালীন পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রহমান। দুই বছর পর আরেকটি অ্যাডহকের সম্পাদক হন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক খুরশিদ আনোয়ার। ২০১৭ সালে গঠিত অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম মোর্শেদ। এটি সর্বশেষ অ্যাডহক কমিটি। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন হয়েছে শুধু, আর বাকি সবাই বহাল আছেন। গোলাম মোর্শেদের পরিবর্তে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয় এনএসসির বিদায়ী সচিব মাসুদ করিমকে। গত দুই বছরের বেশি সময় তার অধীনেই চলছে টেনিসের কার্যক্রম।
অন্য ফেডারেশনে যখন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে এসেছে, তখন টেনিসে চলছে অ্যাডহক সংস্কৃতি। চলতি বছর ১৩ এপ্রিল এনএসসির পরিচালক শাহ আলম সরদারকে প্রধান করে টেনিসের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার প্রায় ৮ মাস পেরুলেও নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি এই ফেডারেশন। আসলে সমস্যাটা কোথায়? এমন প্রশ্ন টেনিসবোদ্ধাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।