Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্রে পৃথিবীর প্রথম ভাসমান শহর বানাবে দক্ষিণ কোরিয়া

সুনামি, হ্যারিকেন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতিসংঘের প্রকল্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

বছরের পর বছর ধরে কিছু স্বাধীনতাবাদী আন্তর্জাতিক পানিসীমায় স্ব-শাসিত ভাসমান বসতি তৈরির স্বপ্ন দেখছে, যেগুলোতে স্বল্প শুল্ক বা শুল্কমুক্ত হবে। নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া বুসান বন্দরের কাছে একটি ভাসমান শহর স্থাপনের পরিকল্পনা করে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া এ প্রকল্পপটি নির্মাণের ঘোষণা দেয়। প্রকল্পটি জাতিসঙ্ঘের অঙ্গসংস্থা ইউএন-হ্যাবিট্যাটের অনুমোদিত, যা নগরায়ন নিয়ে কাজ করে। এ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ বলেছে যে, এটি উপক‚লীয় শহরগুলোকে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।
শহরগুলোতে বাসস্থান বানাতে ভূমি প্রস্তুতের জন্য সমুদ্র থেকে বালি তোলার ফলে সামুদ্রের বাস্তসংস্থান ধ্বংস হচ্ছে এবং এর বাসিন্দারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মডুলার ভাসমান শহর এই সমস্যাগুলির সমাধান সরবরাহ করবে, যা কার্বনমুক্ত প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জন্য সমুদ্রের সাথে টেকসইভাবে বসবাস করার সুযোগ করে দেবে।

অধিবাসীরা সহজেই শহরে হাঁটতে বা নৌকায় যেতে পারবে, যেখানে শিল্প সংস্থা, মার্কেটপ্লেস, স্পোর্টস ক্লাব, স্কুল, এবং আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শহরটি সুনামি ও ক্যাটাগরি-৫ হারিকেনের মতো সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মেবাকাবেলায় সক্ষম হবে বলে বলা হচ্ছে। শহরটিকে তার নিজস্ব খাদ্য এবং জল উৎপাদন করতে সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ২০২৫ সাল নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউএন হ্যাবিট্যাট-এর প্রধান নির্বাহী মায়মুনা মোহম্মদ শরীফ বলেস, ‘টেকসই ভাসমান শহরগুলি আমাদের কাছে উপলব্ধ জলবায়ু অভিযোজন কৌশলনীতিগুলির একটি অংশ। পানি দিয়ে যুদ্ধ করার পরিবর্তে, আসুন আমরা এর সাথে মিল রেখে জীবনযাপন করতে শিখি। আমরা ভাসমান শহর ধারণার মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রকৃতির ভিত্তিক সমাধানগুলি বিকাশের জন্য উদগ্রীব এবং বুশান প্রোটোটাইপটি স্থাপনের আদর্শ পছন্দ।’

ভাসমান প্ল্যাটফর্মটির ব্যয়ভার এবং নির্মাণের জন্য নিয়োগকৃত বিগ-বিজারকে-এর অঙ্গসংগঠন ওশেনিক্সের মুখপাত্র ইতাই মাদামম্বে জানিয়েছেন যে, এর প্রোটোটাইপের জন্য প্রায় ২ শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে এবং এতে ৩ শ’ থেকে ৫ শ’ লোকের বসবাসের জায়গা থাকবে। তাত্তি¡কভাবে, এই ভাসমান বসতিগুলিকে একসাথে যুক্ত করে একটি জেলা তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে ১০ হাজার মানুষ থাকতে পারবে।

এই ভাসমান বসতি হল এমন একটি ধারণা, যা শহরগুলিকে ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে। বুসান কর্তৃপক্ষ মনে করছে যে, এই প্রকল্পটি জাহাজ নির্মাতাদের উৎসাহিত করবে।
২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ শহরের মধ্যে ৯ টিই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে দুর্যোগের শিকার হতে যাচ্ছে। বিগ-এর প্রতিষ্ঠাতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সাগর আমাদের ভাগ্য; এটি আমাদের ভবিষ্যতও হতে পারে।’ সূত্র: দ্য ইকোনোমিস্ট, বিজনেস ইনসাইডার, হাইপবিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ কোরিয়া

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ