পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে আইসিটি খাতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। দু’দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে ৪ হাজার ৮০০ টি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৯০ ভাগ এখন শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ঢাকা ইপিজেড-এ দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। চট্টগ্রাম কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড)-এ কোরিয়ার ২২টি কারখানায় প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী কাজ করছে এবং প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়লে উভয়দেশ উপকৃত হবে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিয়ং-দো এর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কেইপিজেড-এর জটিলতা দূর হলে বাংলাদেশই বেশি লাভবান হবে। বিভিন্ন লেদার ফ্যাক্টরি এবং স্যামস্যাংসহ দক্ষিণ কোরিয়ার বড় বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক অংশীদার। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, আগামীতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করবে। বিশেষ করে আইসিটি খাতে। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিনিয়োগ বিষয়ে সম্ভাবনা ও বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ৮০ টি প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। আগামী অল্প দিনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় এধরনের আরো একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিবে। দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ সফল করতে সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ১৭৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১ হাজার ২১৪ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯৪৫ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য, তৈরী পোশাক, পাটজাত পণ্য, তৈরী পোশাক, হিমায়িত মাছসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।