বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের ছাতকে তেরা মিয়া হত্যা মামলায় মধু মিয়া নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহি উদ্দিন মুরাদ এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ২২ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত সুত্রে জানায়,১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে বলারপীরপুর গ্রামের তেতইখালী খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল হাই আজাদ মছকু মিয়া ও আরজু মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় বন্দুকের গুলিতে আরজু মিয়ার বড়ভাই তেরা মিয়া (৬২) গুরুতর আহত হন। সেই সাথে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। বন্দুকের গুলিতে গুরুতর আহতবস্থায় তেরা মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃতঘোষণা করেন।
এঘটনায় নিহতের ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর ছাতক থানায় ৪৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ৮ জন আসামি মারা যায়, ১৩ জন আসামি পলাতক রয়েছে। ছাতক থানার তৎকালীন ওসি ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ২২ জনের স্বাক্ষী গ্রহন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি গোলাম মোস্তফা বলেন, খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে তেরা মিয়া মারা যান। আদালত রায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছেন। রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ। আসামি পক্ষের আইনজীবী সালেহ আহমদ বলেন, রায়ে আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।