গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর রামপুরায় সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে অনাবিল বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন ইসলাম দূর্জয় নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। দিনটি ছিলো দূর্জয়ের জন্মদিন। মৃত্যুর ঘটনাটি শ্রেফ দুর্ঘটনা ছিলো না। অভিযোগ করা হচ্ছে, ভাড়া নিয়ে হেলপারের সঙ্গে তর্ক হলে মাইনুদ্দিনকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর চলন্ত বাস তার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে শোকার্ত ও ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার বাসের চাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। তারা ঘাতক বাসসহ একে একে আটটি বাসে আগুন দেয়।
এর আগে গত সপ্তাহে গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। কিন্তু থামেনি বাসের চাপায় পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু। আজও চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
এ প্রসঙ্গে এমডি আবু সালেহ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘সত্যি হারিয়ে গেলো সমাজের কালো অন্ধকারে! মায়ের কোল থেকে চিরকালের দূরত্বে, বাবার সংস্পর্শের বাইরে! ভাই-বোনের থেকে অনেক দূরে, বন্ধুদের মাঝে থেকেও হারিয়ে গেলে। এ দায়ভার কার? কবে বুঝব আমরা।’
শোকার্ত দেলোয়ার হোসাইন স্বপন লিখেছেন, ‘আর কত বাবা মায়ের বুক খালি হবে এ ভাবে? আমি একজন বাবা হিসেবে আর সইতে পারছি না। এর প্রতিকার চাই।’
মোহাম্মদ হানিফ আহমেদ লিখেছেন, ‘আমরা অভিভাবকরা সব সময় সন্তানের নিরাপদে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় থাকি। চলন্ত গাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রীরা উঠেনামে এবং পাশ দিয়ে গাড়ি বেপরোয়াভাবে চলে যায়। আবার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে, ঘাতক গাড়ি সাথে সাথে না থামিয়ে পিষে মেরে চলে যায়।
তাই হাফ ভাড়ার থেকেও জরুরি সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা এবং দুর্ঘটনা ঘটলে ৩য় পক্ষ সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতকারীদের নির্বিচারে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ করা।’
আবরার জারিফের দাবি, ‘সড়কে খুনের জন্য দ্রুত বিচার আইন চাই।’
আনার কলি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আইনের প্রয়োগ হয় না বলে আজ এমন বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায় আর এমন দুর্ঘটনা ঘটে। আমার মতে, ফাঁসি আইন বাস্তবায়ন করা হোক।’
রাজিয়া সুলতানার প্রশ্ন, ‘আমাদের আদরের সন্তানরা কি প্রতিনিয়ত এভাবে জীবন দিবে অদক্ষ, অমানুষ ড্রাইভারদের হাতে? আমাদের সন্তানের নিরাপদে ঘরে ফেরার নিশ্চয়ইতা কে দিবে, যেখানে দেশ নিজেই চোখ বন্ধ করে আছে?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।