নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচে আউট হয়ে যাওয়ার সময় হাসি মুখে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ থেকে বের হন ক্রিস গেইল। ডাগআউটে সতীর্থরা তাকে অভিবাদন জানান। তাকে জড়িয়ে ধরেন ডোয়াইন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডাররা। পরে ফিল্ডিংয়ে নামার সময় ব্রাভো ও গেইলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় সতীর্থরা। বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন ব্রাভো। ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ানরা ‘গার্ড অব অনার’ দেয় গেইল ও ব্রাভোকে।
সবকিছুতেই স্পষ্ট ছিল বিদায়ের ছাপ। কিন্তু গেইল মুখ ফুটে কিছুই বলেননি। বিদায়ের সব আয়োজন সারা হয়ে গেলেও পরে পরিষ্কার করেন, জ্যামাইকায় ঘরের দর্শকের সামনে একটি ম্যাচ খেলে অবসরের ঘোষণা দিতে চান ‘ইউনিভার্স বস’। ক্যারিবিয়ান এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের চাওয়া পূরণ করতে চায় ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বিষয়টি অবশ্য এখনও চ‚ড়ান্ত নয়, আলোচনার টেবিলে আছে বলে জানালেন ক্যারিবিয়ান বোর্ড চেয়ারম্যান রিকি স্কেরিট, ‘আমরা এটা (গেইলকে ঘরের মাঠে বিদায় দিতে) চাই। বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে আছে। সময় বা সংস্করণ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
আগামী জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স¤প্রতি ক্যারিবিয়ান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ ইঙ্গিত দেন, আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হতে পারে গেইলের বিদায়ী ম্যাচ, ‘আমরা জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছি। এরপর সাবিনা পার্কে একটি টি-টোয়েন্টি। আশা করি, যদি ভক্তদের সাবিনা পার্কে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে ক্রিসকে তার ঘরের মাঠে বিদায় জানানোর একটি ভালো সুযোগ হবে।’ স্কেরিট অবশ্য পরিষ্কার করেছেন, আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি গেইলের বিদায়ের উপলক্ষ হতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, ‘সিইওর করা একটি সাধারণ মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে গণমাধ্যম।’
ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গেইলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু। পরে ছাপ রাখেন তিনি টেস্ট ক্রিকেটেও। ওয়ানডেতে রান করেছেন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার, ২৫টি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও। টেস্টে রান করেছেন ৭ হাজারের বেশি। একাধিক ট্রিপল সেঞ্চুরি করা টেস্ট ইতিহাসের মাত্র চার ব্যাটসম্যানের একজন তিনি। এরপর টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবে তিনি নিজেকে তুলে নেন অনন্য উচ্চতায়। এই সংস্করণে তিনি সবসময়ের অবিসংবাদিত সেরা ব্যাটসম্যান। অবিশ্বাস্য সব সংখ্যা আর রেকর্ডের জন্ম হয় তার ব্যাট থেকে। পাশাপাশি মাঠে তার বিচরণ, মাঠের ভেতরে-বাইরে নানাভাবে বিনোদন দেওয়া দর্শকপ্রিয় এক ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।