মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজকের দিনেও পরিবারে গৃহবধূরা কি গৃহকর্তার মতো গুরুত্ব পান? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তরটা ‘না’ হয়। দাঁড়িপাল্লা দিয়ে দেখলে সামান্য হলেও স্ত্রীর তুলনায় স্বামীর গুরুত্ব বেশি। আর সেই বিভেদ মেটাতেই অভিনব ভাবনা গুয়াহাটির আইনজীবী যুগলের।
আইনের মানদণ্ডই হোক আর সমাজের দাঁড়িপাল্লাই হোক, নিজেদের বিয়ের কার্ডে এই ছবিই আর পাঁচটা আমন্ত্রণপত্র থেকে আলাদা করে দিয়েছে। আপাতত এই আসামীয়া যুগলের বিয়ের কার্ড ভাইরাল। রবিবারই অজয় আর পূজা সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন। যে কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তার সবটাই আইনি পরিভাষায় মোড়া।
কার্ডের বাঁ দিকে নিজেদের বিয়ের কথা ঘোষণা করেছে আসামের পাত্র অজয় শর্মা। সেখানে একটি তুলাদণ্ডের ছবি, যা সাধারণত আদালতে দেখা যায়। তুলাদণ্ডের দুই পাল্লায় নাম লেখা পাত্র অজয় এবং পাত্রী পূজার। এই পাতাতেই বিয়ের দিনক্ষণ, স্থান সব তথ্য দেওয়া। আর ডানদিকের বয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর নানা ধারা উল্লেখ করে লেখা, সংবিধান মেনে তারা বিবাহন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন।
এখানে বিবাহ সম্পর্কিত আইনি ব্যাখ্যাও রয়েছে এই কার্ডে। তাতে লেখা – সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুযায়ী বিবাহ করতে পারে দুই প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। আমরা সেই মৌলিক অধিকার মেনে বিয়ে করছি। আপনাদের আমন্ত্রণ করছি সংবিধানের ১৯ (বি) ধারায়। যে ধারা অনুযায়ী, অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া শান্তি বজায় রেখে নিমন্ত্রণ রক্ষা করা। তাই বিনীত আবেদন, আপনারা সকলে আমাদের আশীর্বাদ করুন।” বিয়ের কার্ডে এত আইনি ভাষায় লেখা বয়ান সত্যিই অনন্য, এর আগে কেউ এমনটা দেখেননি।
নেটদুনিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল সেই কার্ড। কেউ কেউ বিস্মিত এই বয়ান দেখে। কেউ আবার বলছেন, আইনজীবী বলেই নিজেদের সৃষ্টিশীলতায় এত আইনি ছোঁয়া। নেটিজেনদের মত যা-ই হোক, বিষয়টি যে একেবারে নজর কেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।