বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার শাখারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং চলতি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রভাষক এনামুল হক রুমি (৫২) এর বিরুদ্ধে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আদালত (১) এ একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদীনী কোহিনুর বেগম। বর্তমানে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থানকারী কোহিনুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জানান,গত বুধবার কোহিনুর বেগম (৩৫) এর পক্ষে মামলা করেন বগুড়ার সিনিয়র আইনজীবী একেএম আব্দুল হাকিম।
বিকেলে ওই মামলার (মামলা নং ৩০১) আদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আদালত (১) এর বিচারক জেলা জজ একেএম ফজলুল হক আগামী ১৪ কর্ম দিবসের মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছেন মর্মে জানান, উক্ত আদালতের বেঞ্চ সহকারি গৌতম নন্দী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে বাদী কোহিনুর (৩৫) বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলপাড়ার মোঃ কোরবান আলীর কন্যা। তার স্বামীর নাম মোঃ নুর আলম। দারিদ্রের কারণে ৩ সন্তানের জননী কোহিনুর প্রতিবেশী প্রভাষক এনামুল হক রুমির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। এ অবস্থায় গত ১৭-১০-২০২০ এ হতে ২০ -১০-২১ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে কখনো জোর পূর্বক, কখনো, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। কখনো সবার অগোচরে কখনো প্রভাষক রুমি আবার কখনো কোহিনুরের স্বামীর বাসায় এইসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ।
তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় গত ১৯ নভেম্বর সে বগুড়া সদর থানায় এব্যাপারে এজাহার দাখিলের জন্য যায়। পুলিশ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ নভেম্বর বিচারিক আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয় ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিকেলেই মামলাটি তদন্তের জন্য বগুড়াস্থ পিবিআই কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই মামলাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই জাকারিয়া বলেন, বাদী পক্ষ সাহস ও সতততার সাথে মামলার আনুষঙ্গিক তথ্য ঊপাত্ত দিতে পারলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পারপাবেনা ।
এদিকে বাদী কোহিনুর বেগম জানিয়েছেন , ধর্ষক রুমির পক্ষে তার পরিবার তাকে স্বপরিবারে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে যেতে বলেছে। না গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। তাই তিনি প্রথমে এলাকাকার মুরুব্বি, নেতা ও পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় কোথাও বিচার না পেয়ে আদালতে গিয়েছে। তার পরও রুমির পাঠানো লোকজন আমাকে ও আমার স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমি মানবাধিকার সংস্থা, মিডিয়া ও পুলিশের সহায়তা চাচ্ছি , আমি এখন ঘরছাড়া আমাকে ঘরে ফিরে বসবাস করার নিরাপত্তা দিন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।