Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

প্রশ্ন : আমার ছেলে আমেরিকায় থাকে। নিয়মিত নামাজ পড়ে না। বললে পড়ে, আবার ছেড়ে দেয়। শুনেছি মাঝে মাঝে মদও পান করে। তার পাঠানো টাকায়ই আমি চলি। আমার কী করা উচিত? কবরের আজাব থেকে আমি রক্ষা পাবো কি না?
উত্তর : আপনার জন্য ছেলের পাঠানো টাকা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ জায়েজ। যদি সে নামাজ না-ও পড়ে, মাঝেমধ্যে মদও পান করে। যদি আপনি তার উপার্জন হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান না হন, তাহলে নির্দ্বিধায় তার টাকা ব্যবহার করবেন। যদি তার কামাই হালাল-হারাম মিশ্রিত হয়, তাহলে আপনি হালাল অংশ থেকে নিচ্ছেন ভেবে তার টাকা নিন। নামাজের জন্য তাকে বলতে থাকুন, মদ পান না করার জন্যও নরম স্বরে উপদেশ দিন। দিল খুলে আল্লাহর নিকট তার সুমতির জন্য দোয়া করুন। চেষ্টা করুন, যেন সে সৎসঙ্গ গ্রহণ করে। পিতার দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন। দ্রুত না হোক, দু’দিন পর। আপনার দোয়া বৃথা যাবে না। কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকুন। অতীত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকুন। বিশেষ করে রোজা ও কোরআন তিলাওয়াত কবরকে আলোকিত রাখে। ওজু-গোসল ঠিকমতো না করলে কবরের আযাব হয়। এসব খেয়াল করে চলুন, ভালো আলেমের সঙ্গ ও উপদেশ নিয়ে চলতে থাকুন। ছেলেকে তার নাবালক অবস্থায় ইসলামি মূল্যবোধ শিক্ষা না দিয়ে থাকলে তার বর্তমান ভুলত্রুটির জন্য আপনাকেও কিছু গুনাহের দায় নিতে হবে। এ জন্য তওবা ও সংশোধনের ব্যবস্থা নিন। আর আপনি ছোটবেলা চেষ্টা করে থাকলে বর্তমানে আপনার আর কোনো গুনাহ হবে না। বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে তাদের গুনাহর দায় তারাই বহন করে থাকে।
প্রশ্ন : আশারায়ে মুবাশশরাহ অর্থাৎ বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তির কে কখন কি কারণে এ সুসংবাদ পেলেন? জানালে খুশি হবো।
উত্তর : আমাদের বুঝতে হবে যে, প্রিয় নবীজি সা. এর সাহাবীগণের সকলেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে সুসংবাদ রয়েছে। এদের মধ্যে হজরত আবু বকর রা., হজরত ওমর রা., হজরত ওসমান রা., হজরত আলী রা., হজরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা., হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা., প্রমুখ ১০ জন সাহাবী সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে এ মর্মে সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে, এরা জান্নাতি। সে সব উপলক্ষ্যের বিবরণ দীর্ঘ আলোচনাসাপেক্ষ। শুধু এতটুকু বলা যায় যে, এদের সম্পর্কে প্রি নবীজি সা. যেহেতু সরাসরি নাম উচ্চারণ করে এ কথা বলেছেন যে, অমুক জান্নাতি, আর এরূপ সাহাবীর সংখ্যা যেহেতু ১০ জন, এ জন্য এদেরকে একসাথে আশারায়ে মুবাশশারাহ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন বলে অভিহিত করা হয়।



 

Show all comments
  • তরিকুল ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৪০ এএম says : 0
    আমেরিকায় ছেলেকে পাঠানোতে কোনো সফলতা নেই যদি তাকে মানুষের মতো মানুষ না করতে পারেন।
    Total Reply(0) Reply
  • কায়কোবাদ মিলন ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৪০ এএম says : 0
    ধন্যবাদ ইনকিলাবকে, প্রয়োজনীয় একটা আর্টিকেল ছাপানোর জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • সত্য উন্মোচন ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৪১ এএম says : 0
    সন্তানকে ইসলামের শিক্ষায় সুশিক্ষিত করতে না পারলে দুই জগতেই লাঞ্চনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ