মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে রাজ্যে শিল্প সম্মেলন উদ্বোধনে রাজি মোদী। বিএসএফ নিয়েও কথা।
কলকাতায় এসে শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তা গ্রহণ করেছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। মমতার বক্তব্য, ''আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু উন্নয়নের জন্য, শিল্পের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।'' সেজন্যই কট্টর মোদী-বিরোধী বলে পরিচিত মমতা তার যাবতীয় বিরোধ সরিয়ে রেখে এখন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করাচ্ছেন। আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল এই শিল্প সম্মেলন হবে।
মমতা বলেছেন, ''করোনার পর শিল্পের অবস্থা খারাপ। কোন দেশ আসবে, কে আসবে না, তা জানি না। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য হাত মিলিয়ে কাজ করলে অনেকেই আসতে পারেন।'' এনিয়ে কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া হলো, ''এনআরসি নিয়ে মমতা প্রধানমন্ত্রীকে কোনো কথা বললেন না। বিএসএফ নিয়ে নতুন কোনো কথা শুনতে পেলাম না। মমতার অর্থমন্ত্রী বলছেন, মোদীর জন্য শিল্পপতিরা ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর মমতা তাকে দিয়েই শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করাচ্ছেন।''
অধীরের অভিযোগ, ''দিদিকে বাঁচতে গেলে মোদীকে তুষ্ট করতে হবে। তাই তিনি মোদীকে দিয়ে শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করাচ্ছেন।'' এবিপি আনন্দকে ফোনে অধীর বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী এখন মোদীর দালালি করছেন।'' আর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী আসছেন এটা তো আনন্দের কথা। মোদী এলে উন্নয়নের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চলবে। মমতা তো বলছেন না যে তিনি বিজেপি-বিরোধিতা ছেড়ে দিচ্ছেন।'' সৌগত বলেছেন, ''অধীরের পায়ের নীচে জমি নেই। তার কথাকে গুরুত্ব দেয়ার দরকার নেই।''
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''আমি বিএসএফ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাকে বলেছি. বিএসএফ গুলি করে সাধারণ মানুষকে মারছে। দিন কয়েক আগেই তারা কোচবিহারে গুলি করে তিনজন সাধারণ মানুষকে মেরেছে। তারা বিভিন্ন জেলায় গুলি করে মানুষকে মারছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দিনাজপুর সব জায়গায় তাদের গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছে।'' এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মমতা।
মমতা দাবি করেছেন, বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র যে আইন করেছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত। এই আইনে বিএসএফের এক্তিয়ার সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। আগে ছিল ১৫ কিলোমিটার। এই আইনই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মমতা বলেছেন, প্রয়োজনে বিএসএফকে রাজ্য সরকার সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত। তবে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কী বলেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রী জানাননি।
মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, এবার তিনি দিল্লিতে এলেও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করছেন না। বারবার এই প্রশ্ন করা হলে কিছুটা বিরক্ত মমতা বলেন, ''প্রতিবার এলেই কি দেখা করতে হবে নাকি? ওরা পাঞ্জাবের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।'' সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে কিছু নেতাকে দলে নিয়েছেন মমতা। তাতে কংগ্রেস ক্ষুব্ধ। মমতা বলেছেন, তিনি কোনো দল ভাঙাচ্ছেন না। তবে নেতারা যদি তার দলে যোগ দিতে চায়, তাদের তিনি কেন আটকাবেন? তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ৩০ তারিখ তিনি মুম্বই যাচ্ছেন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তখন তিনি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।