মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানিতে লাগামহীন করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশে ভ্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করে দিলো। এ দিকে জার্মানিতে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করা ও অন্যান্য কড়া পদক্ষেপের জন্য চাপ বাড়ছে।
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার মঙ্গলবার প্রায় ৪০০ ছুঁয়েছে। বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে অভূতপূর্ব সংকটের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতি ১২ দিনে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়ে ওঠায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন নাটকীয় অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় বর্তমান পদক্ষেপ একেবারেই কার্যকর হচ্ছে না বলে মনে করেন ম্যার্কেল। কিন্তু কার্যনির্বাহী সরকার প্রধান হিসেবে তিনি নিজে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
জার্মানির এমন ‘অসহায়' অবস্থা বিদেশেও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশের নাগরিকদের জার্মানি ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি করোনা টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ থাকলেও বর্তমানে সে দেশে যাওয়া উচিত হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে। জার্মানি ছাড়াও অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়া ও হাঙ্গেরির মতো দেশ সম্পর্কেও ‘লেভেল ফোর ওয়ার্নিং' জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের জের ধরে জার্মানির হাসপাতালগুলির বেহাল অবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন একের পর এক বিশেষজ্ঞ। বাভেরিয়া, টুরিঙ্গিয়া ও স্যাক্সনি রাজ্যে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম দেখা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হলেও কোনো মানুষকে হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। বাঁচার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে ডাক্তারদের রোগী বাছাই করতে হবে।
জার্মানিতে এখনো পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ মানুষ টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ নিয়েছেন। অনেক আবেদন-নিবেদন করেও এর বেশি মানুষকে টিকা নিতে রাজি করানো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় অস্ট্রিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে জার্মানিতেও করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার জন্য জনমতের চাপ বাড়ছে। একের পর এক বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিক সেই সুরে সুর মেলাচ্ছেন। অনেক আইন বিশেষজ্ঞও এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখছেন না। আগামী সরকার ক্ষমতায় এলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেইসঙ্গে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে অস্ট্রিয়ার মতো গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণার আশঙ্কাও আর উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। সূত্র: ডিপিএ, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।