পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্যান্টের বেল্টের সাথে ঝুলছে একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র। বুক পকেটে রাখা আরো এমন দু’টি পরিচয়পত্র। সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে মানুষকে ব্ল্যাক মেইলিং করে টাকা আদায় করাই তাদের উদ্দেশ্য। এমন তিন সংবাদকর্মী পরিচয়দানকারী প্রতারককে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার যুবকরা।
গত রোববার রাতে আটক করা ওই যুবকদের পকেট থেকে শুধু পরিচয়পত্র নয়, পত্রিকার সম্পদকের সীল মোহর, পত্রিকার খালি প্যাড, ইয়াবা, বিরোধী দলের প্যাড, বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ভিজিটিং কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত ৩ যুবকের নাম আ. কাদির, তাইমুল ইসলাম ও আলামিন সোহাগ। তারা আজাদ ডাইং এর এক পরিচালকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের এলাকার প্রতিটি প্রবেশ মুখে আছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এলাকা থেকে মাদক, ছিনতাইকারী দূর করতেই সমাজের মুরব্বীরা এর ব্যবস্থা করেছেন। এলাকায় অপরিচিতদের প্রবেশ দেখলেই তাকে প্রশ্ন করেন আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা।
গত রোববার রাতে এই তিন যুবককে দেখে প্রথমে সন্দেহ হলে প্রথমে তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। নিজেদের জাতীয় পত্রিকা দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দেয়। তখন সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এরপর তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করে।
পরে এলাকার মুরব্বীদের চাপে দেখাতে বাধ্য হয়। কিন্তু তারা মানবজমিন পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। দুর্নীতি রিপোর্ট নামে একটি পত্রিকার পাঁচটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে।
এরমধ্যে একটি মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয়পত্রও ছিল। এদের মধ্যে আ. কাদির ওই পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। আর আলামিন বার্তা সম্পাদক ও তাইমুল যুগ্ম-বার্তা সস্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।
এছাড়াও তাদের সাথে থাকা ব্যাগ থেকে ২০ পিছ ইয়াবা, একটি গ্যাস লাইট, পত্রিকার খালি প্যাড, পত্রিকার সম্পাদকের সীল, বিরোধী দলের প্যাড, বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ভিজিটিং কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। থানায় আসার পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।