বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে জনপদের কাছে এসে আরো একটি বাচ্চা হাতির করুণ মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার সকালে ঈদগাঁও উপজেলার এক মাছের ঘেরের পাশে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আগের রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। চোরের হাত থেকে মাছ রক্ষায় ঘেরটিতে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ বসান স্থানীয়রা। ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে।
হাতির মৃত্যুর ঘটনাস্থল ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব গজালিয়া সিলিভার ঘাটে। একইভাব গত বছর রামুর মিঠাছড়িতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে আরো একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল।
হাতিটির বয়স আনুমানিক তিন-চার বছর হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
রোববার সকালে মৃত হাতিটি দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে রেঞ্জের বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। দুপুর ১২টার দিকে রামু উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহজাদা মোহাম্মদ জুলকারনাইনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসকদল গিয়ে ময়নাতদন্ত করেন। সন্ধ্যায় শাহজাদা মোহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, 'আমি নিশ্চিত হয়ে জানাচ্ছি যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।'
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সদস্য নির্বাচিত মেম্বার সিরাজুল ইসলামের একটি মাছের ঘের রয়েছে। রাতের বেলায় চোর তাড়াতে সেখানে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ বসিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি সত্যি নয় বলে দাবি করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই বছর ধরে সেখানে কোনো মাছ চাষ হয় না। বৈদ্যুতিক তার দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে এলাকার একজন জেলে জানিয়েছেন, তাঁরা (জেলে) তিন-চার দিন আগেও সেখান থেকে মাছ ধরেছেন। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রসান্ত চন্দ্র রায় বলেন, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতির মৃত্যু হয়ে থাকলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী আইনে মামলা করা হবে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন,
হাতি ফসল নষ্ট করলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে। তার পরও ফসল রক্ষার জন্য হাতি একেবারে মেরে ফেলার মতো এত বড় ক্ষতি করা হচ্ছে!
কক্সবাজারের পরিবেশবাদী এনভায়রনমেন্ট পিপল'-এর কর্মকর্তা রাশেদুল মজিদের মতে
এ নিয়ে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত চার মাসে শুধু কক্সবাজারে পাঁচটি হাতির মৃত্যু হলো। হত্যাসহ বিভিন্নভাবে গত তিন বছরে কক্সবাজার জেলায় ১৯টি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।