পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গভীর অরণ্যে থাকার কথা। কিন্তু বনাঞ্চল ছেঢ়ে খাবারে খোঁজে লোকালয়ে নয়। একেবারে শহরের রাস্তায়। বড় আকারের দুইটি হাতি। আর হাতি দু’টিকে দেখে লোকজন হঠাৎ দিকবিদিক হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। এমন ঘটনা ঘটেছে খুলনা মহানগরের জংশন মোড়ে।
গতকাল দুপুর ১টার দিকে জংশন মোড়ে হঠাৎ দিকবিদিক হয়ে মানুষের ছোটাছুটি। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। হাতির উপরে দুই মাহুত। রাস্তার প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল সব রুখে দিচ্ছে হাতিগুলো।
বিশাল শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরছে গাড়ি। টাকা দিলে মিলছে মুক্তি। টাকা না দিলে হাতি পথ ছাড়ছে না। রাস্তার পাশেও দোকানগুলোতে হাতি শুঁড় দিয়ে দোকানীদের জানান দিচ্ছে টাকা চাই। টাকা দিলে তা শুঁড় দিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে উপরে বসা মাহুতকে।
এমন দৃশ্য রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মহানগরীর পুরো বিআইডিসি রোড, জংশন রোড, জোড়াগেটসহ প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় চলে এমন অভিনব চাঁদাবাজি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দায়িত্বরত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যদের এ সময় অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাতি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এভাবে চাঁদাবাজির কারন কি? এমন প্রশ্নে হাতির মাহুত রবিউল জানান, দুটি হাতির পিছনে প্রতিদিন খরচ প্রায় চারশত টাকা। এগুলো সার্কাসের প্রশিক্ষিত হাতি। এখন সার্কাস কেউ দেখে না। হাতিগুলোকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের খাবার খাওয়াতে হয়।
তারা দাবি করেন, কাউকে ভয় দেখিয়ে টাকা নেন না। লোকজন খুশি হয়ে টাকা দেন। তাদের এমন কথার সত্যতা স্থানীয়দের অনেকেই স্বীকার করতে রাজী নন। এদিকে প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও খুলনা বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম জানান, পশু দিয়ে চাঁদাবাজি কোনো ভাবেই কাম্য নয়। লোকজন এখন সার্কাস দেখে না। সে জন্যই সরকারিভাবে হাতিগুলো সংরক্ষণ ও প্রতিপালন করা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।