Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট কাইল রিটেনহাউসকে দুটি হত্যার দায় থেকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে মুক্তি দেয়ায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে পুরো আমেরিকা। শনিবার পূর্বাঞ্চলের নিউইয়র্ক শহর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীদের মিছিল-স্লােগানে। ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট উইসকনসিনের কিনোশা শহরে রিটেনহাউস ৩৬ বছর বয়সীদের জোসেফ রোজেনবম এবং ২৬ বছর বয়সে অ্যান্থনি হুবারকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া, সে সময় তিন বিক্ষোভকারীকে আহত করে। এ ঘটনায় রিটেনহাউসের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয় এবং গত শুক্রবার সেই মামলার রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাকে নির্দোষ হিসেবে খালাস দেয়া হয়। অরিজোনের পোর্টল্যান্ডে ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় বিক্ষোভকারীরা। আদালতের রায়ে হোয়াইট সুপরিমেসিস্ট কাই রিটেনহাউস ও তার পরিবার উল্লাস প্রকাশ করেছে কিন্তু আমেরিকার সাধারণ জনগণ এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অসন্তুষ্ট। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে বক্তব্য দিলেও রিটেনহাউসের মুক্তি দেয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে এখন রাজপথে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। অরিজোনের সবচেয়ে বড় শহরে আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে দাঙ্গাও সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে, দুই জনকে গুলি করে হত্যা করা এক কিশোরকে দায়মুক্তি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বছরের ২৫ আগস্ট উইসকনসিনে বর্ণবাদী দাঙ্গার সময় দুই জনকে গুলি করে হত্যা করেন ১৭ বছরের কাইল রিটেনহাউজ। তবে মার্কিন আদালত তার উপরে থাকা সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ নিয়ে হতাশা জানিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বাইডেন। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, রায় যা হবে তিনি বিচারকদের সঙ্গে আছেন। কাইলের বিচারকার্য নিয়ে বিভক্তি ছিল মার্কিনিদের মধ্যেও। হত্যার দায় স্বীকার করেছেন কাইলও। তবে তিনি জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেই তিনি গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হন। তার বিরুদ্ধে দুই জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা এবং জনজীবন বিপন্ন করার দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে উভয় মামলা থেকেই মুক্তি পেয়েছেন তিনি। কাইলের গুলিতে মৃত দুজনই ছিল শ্বেতাঙ্গ। ঘটনার সময় তার বয়স ১৭ হলেও, বর্তমানে তিনি ১৮ বছর পার করেছেন। বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, রায় শোনার পর খুশিতে প্রায় পরে যাচ্ছিলেন কাইল। সেখানে উপস্থিত ছিল তার পরিবারের সদস্যরাও। তারাও আনন্দে কেঁদে ফেলেন। বিচারকদের যে বোর্ড এ রায় দিয়েছেন তাতে ছিলেন ৭ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ। গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় কাইলের এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছিলেন বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের সামনে তাকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে, তিনি এখনো তার পূর্বের অবস্থানেই রয়েছেন কিনা! উত্তরে বাইডেন বলেন, তিনি আদালতের রায়ের সঙ্গে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ যা সিদ্ধান্ত নেয় তিনি তাই মেনে নেবেন। যদিও আদালতের রায়ে কাইলকে দায়মুক্তি দেয়া হলে অসন্তোষ জানান বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে অনেক মার্কিনিক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। আমি নিজেও এরমধ্যে রয়েছি। বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ