মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে জুমার নামাজ নিয়ে ভীষণ সমস্যায় রয়েছেন সেখানকার মুসলিমরা।স্থানীয় পাঁচটি গুরুদুয়ারা কমিটি তাদের নিজেদের প্রাঙ্গনে জুমার নামাজের প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে শুক্রবার তার একটিতেও নামাজ হয়নি। হিন্দুত্ববাদীরা যথারীতি কলকাঠি নেড়ে গুরুদুয়ারায় নামায বন্ধ করে দেয়।অবশ্য শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য নিজের দোকান খুলে দেন জনৈক অক্ষয় যাদব। সেখানেই হয় নামাজ।
অক্ষয় যাদবের দোকানে নামাজ পড়ান রাজ্যসভার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আদিব। তিনি বলেন, যখন গুরুদুয়ারা কমিটি তাদের নামাজের প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা তাদের চাপ দেয়। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম গুরুদুয়ারা চাপের মধ্যে রয়েছে। আমরা গুরুদুয়ারাকে বলেছি, তাদের অসুবিধা করব না। আমাদের নামাজ পড়ার প্রস্তাব দেয়ার জন্য তাদের আমরা ধন্যবাদ জানিয়ে আসি।
গুরুগ্রামে মুসলিম কাউন্সিলের আলতাফ আহমেদ বলেছেন, কট্টরপন্থীরা ঘৃণ্য কৌশল অবলম্বন করে মুসলমানদের জুমার নামাজ পড়া থেকে বিরত রাখতে চাপ সৃষ্টি করছিল। শুক্রবার শিখ সম্প্রদায়ের একটি বড় উৎসব ছিল। ভক্তদের বিশাল ভিড় প্রত্যাশিত ছিল।আমরা নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইনি৷ তাই, গুরুদ্বার সাহিব এবং গুরুগ্রাম মুসলিম কাউন্সিলের কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই সপ্তাহে গুরুদ্বারে নামায পড়া হবে না।
সেক্টর ৩৭-এও আশান্তি বাধাতে কসুর করেনি বিদ্বেষী কট্টরপন্থীরা। ১৫-২০ জন লোক খেলার মাঠে নামাজ পড়তে বাধা দেয়, পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছিল যে সেখানে তারা ক্রিকেট খেলতে চায়। পুলিশ তাদের ১০ নম্বর সেক্টর থানায় নিয়ে গিয়ে কথা বলে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে বলেছে যে তারা আগামী সপ্তাহ থেকে সেক্টর ৩৭ তেও নামাজ পড়তে দেবে না। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু লোক নামাজ পড়তে সমর্থ হলেও বাকিদের চলে যেতে হয়েছিল।
সেক্টর ১২-এর অটোমোবাইল মার্কেটের দোকানদার আসিফ খান বলেছেন, বেশিরভাগ লোক অক্ষয় যাদবের দোকানে নামাজ পড়েন। তিনি বলেন, আমরা গত সপ্তাহেও এখানে নামাজ পড়েছি। তার এক সপ্তাহ আগে অবশ্য আমরা বাইরে নামাজ পড়েছিলাম। সেখানেও ওরা ঝামেলা বাধায়।
আলতাফ বলেন, খ্রিস্টানরাও আমাদের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অক্ষয় যাদব যেমন সাহায্য করেছেন তেমনই শিখ এবং খ্রিস্টানরাও সহযোগিতার সদর্থক বার্তা দিয়েছে। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। গুরগাঁওয়ের সরকারি বা ব্যক্তিগত জমি থেকে জমি পেলে সেখানে আমরা মর্যাদার সাথে নামাজ পড়তে পারি। অক্ষয়ের দোকানে নামাজ পড়া কোনো সমাধান নয়।এর জন্য মুসলমানদের নতুন উপায় খুঁজে বের করতেই হবে।
সূত্র : পুবের কলম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।