Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কৃষি আইনের মতো সিএএও প্রত্যাহার করা উচিত : আরশাদ মাদানী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৭ এএম

ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করার পর মুসলিম নেতারা শুক্রবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা আন্দোলন করছেন। সিসিএএ-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল গোটা ভারতের মুসলিমরা। কিন্তু তাতে আমলই দেয়নি ভারত সরকার। এটিকে কেবল মুসলিমদের সমস্যা মনে করে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে বৈষম্য। এমনটাই অভিযোগ।

জামায়াতে ইসলামী হিন্দ-এর সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি, বলেছেন : 'আমরা এখন সরকারকে অন্যান্য জনবিরোধী এবং সংবিধানবিরোধী আইন যেমন সিএএ-এনআরসির দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। এটা আগে করা হলে বহু লোকসান এড়ানো যেত।'

তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানি। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন : 'সরকারের উচিত এখনই সিএএ প্রত্যাহার করা। আমাদের উচিত কৃষকদের অভিনন্দন জানানো। তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের অন্যান্য আন্দোলনের মতো কৃষক আন্দোলনকেও দমন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কৃষকদের বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু তারা সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থেকেছেন।' তিনি আরো বলেন, 'আবারো সত্য সামনে এল। ন্যায়সঙ্গত উদ্দেশ্যে সততা ও ধৈর্যের সঙ্গে আন্দোলন চালালে একদিন সফলতা আসবেই।'

আরশাদ মাদানী এও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের কাঠামো গণতান্ত্রিক। এখন তার উচিত মুসলিমদের বিষয়ে যে আইন আনা হয়েছে তার প্রতি মনোযোগ দেয়া। কৃষি আইনের মতো সিএএও প্রত্যাহার করা উচিত।' সূত্র : পুবের কলম



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ