মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ধর্মীয় স্বাধীনতার ‘পদ্ধতিগত, চলমান এবং গুরুতর’ লঙ্ঘনের সাথে জড়িত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘রেড লিস্টে’ ভারতের নাম রাখার জন্য সুপারিশ করেছিল একটি স্বাধীন সরকারী কমিশন। তবে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে। এই ঘটনাটি হচ্ছে প্রশাসন এবং মার্কিন আইন প্রণেতাদের দ্বারা ভারতের প্রতি প্রয়োগ করা নম্রতার সর্বশেষ উদাহরণ।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা চীনকে মোকাবেলা করার জন্য ট্রাম্প এবং বিডেন উভয় প্রশাসনের কৌশলে বিশিষ্টভাবে বৈশিষ্ট্যযুক্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বেইজিংয়ের অভিপ্রায় সম্পর্কে মার্কিন উদ্বেগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা এখন চীনকে তাদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। গুজরাট রাজ্যের গভর্নর থাকাকালীন ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের’ জন্য একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলিঙ্গন করতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোনও দ্বিধা ছিল না। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য, যিনি মানবাধিকারকে তার পররাষ্ট্র নীতির ‘কেন্দ্রে’ রাখার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন, সমস্যাটি আরও সূ²। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ইউএস কমিশনের চেয়ারম্যান নাদিন মেনজা, অ্যাক্সিওসকে বলেছিলেন যে, বাইডেন প্রশাসন ভারতকে ‘উদ্বেগের দেশ’ হিসাবে নামকরণ করে প্রকাশ্যে চাপ দেয়ার ‘একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে’। তিনি বলেন, ‘আমরা হতাশ যে তারা সেখানকার অবস্থা এবং কীভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি হচ্ছে, তার দিকে নজর দিচ্ছে না।’ ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, ভারত গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং মুসলিম বিরোধী জনতা সহিংসতার ঘন ঘন প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন যে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বৈষম্যের প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখেছে এবং মুসলমানদের প্রান্তিক করার জন্য ডিজাইন করা আইন আরোপ করেছে।
মার্কিন-ভারত বিশেষজ্ঞ রিচার্ড রসো বলেন, ‘চীনের উত্থান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য ভারতের ইচ্ছার সাথে বাইডেন প্রশাসন এই অঞ্চলগুলোতে বর্তমান উদ্বেগের স্তরের উপর সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইবে না।’ ইতিমধ্যে, বাইডেন হোয়াইট হাউসে মোদিকে আতিথ্য দিয়েছে এবং কোয়াডের মাধ্যমে নতুন সম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে গিয়েছে। এটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি কৌশলগত জোট যা বেইজিং প্রতিক‚ল বলে মনে করে। বাইডেন আগামী মাসে তার ‘গণতন্ত্রের জন্য শীর্ষ সম্মেলনে’ ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোরও পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। তবে এই সুবিধা ভারতের জন্য একচেটিয়া নয়। মার্কিন প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে মিসর বা সউদী আরবের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর তুলনায় ইরানের মতো প্রতিপক্ষ দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বেশি সমালোচনা করে আসছে। সূত্র : অ্যাক্সিওস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।