পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রীকে রাতভর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় বর্ষের ৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আয়শা আক্তার রিজু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নাসরিন জাহান খুশি, জুলি মারমা, রিনাকী চাকমা, জান্নাত নিপো ও পূজা দাস। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিজু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র লিখেন। যেখানে তিনি বলেন, সিনিয়র আপুরা আমাকে দুই ঘণ্টা ধরে নাচতে বাধ্য করে। আমি নাচতে না চাইলেও জোর করে নাচানো হয়। রাত ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আপুরা আমাকে র্যাগ দেয়।
ঘটনার বর্ণনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী লিখেন, গত মঙ্গলবা রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টা নাগাদ এক্সটেনশন ভবনের ৩ নাম্বার রুমের আপুরা আমার রুমে আসেন। তারা হাসি তামাশা করে চলে যান এবং পুনরায় ফিরে আসেন। তখন আঞ্চলিকতা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা আপুদের মধ্যে চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় যথেষ্ট সম্মান ও বিনয়ের সাথে জুলি আপুকে জিজ্ঞেস করি, আপু- ‘আমি ভাত খাই’ এটাকে আপনাদের ভাষায় কীভাবে বলে? এই কথার প্রত্যুত্তরে হঠাৎ তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে ধমকিয়ে বলেন, তুই আমাকে জিজ্ঞেস করিস, তোর সাহস তো কম না। তোকে র্যাগ দিতে হবে।’ এরপর রাত ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তারা আমার এক সহপাঠীসহ আমাকে র্যাগ দেয়। আমি প্রশাসনিকভাবে হলে উঠেছি বললে তারা বলে প্রশাসন কিসের কী? আমরা তোদের এখানে থাকতে দেই বলে তোরা থাকতে পারছিস। র্যাগ শেষে জুলি ও খুশি আপু বললেন, ‘ম্যামকে অভিযোগ করবি? ম্যামকে বলে কোনো লাভ নেই। আমাদের কিছুই হবে না।’
তবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে জান্নাত নিপো বলেন, র্যাগিংয়ের কোনো ঘটনার কথা তো আমরা জানি না। মঙ্গলবার রাতে আমরা সিনিয়র জুনিয়র মিলে নেচেছিলাম। সেখানে র্যাগিংয়ের কথা কেন আসল তাতো আমরা জানি না। অভিযুক্ত আরো দু’জনকে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমি বিষয়টি কেবল জেনেছি এবং তাদের সবাইকে ডেকেছি মিমাংসা করার জন্য। আমি ভালোভাবে বিষয়টা জেনে বুঝে একটা মীমাংসা করে দিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে হল প্রোভোস্টকে সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রভোস্ট দুইপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।