নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কথা দিয়েছিলেন যে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে চারজাতি ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলকে ফাইনালে তুলবেন। সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘দল ফাইনালে উঠলে আমি শ্রীলঙ্কা যাব।’ কিন্তু কথা রাখতে পারেননি লাল-সবুজের অধিনায়ক। দলকে তিনি ফাইনালে তো তুলতে পারেনই নি, উল্টো কলম্বোতে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে দশ জনের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ গোলের লজ্জার হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লেন। অথচ এই ম্যাচে নূন্যতম ড্র করলেই ফাইনালে খেলার সুযোগ পেত লাল-সবুজরা। টুর্নামেন্টে চরম ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কলম্বো থেকে দেশে ফিরে আসছে বাংলাদেশ দল।
মালদ্বীপের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো শ্রীলঙ্কার চারজাতি টুর্নামেন্টের চিত্রও একই। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে প্রতিপক্ষের গোল থেকে বাংলাদেশের বিদায়! দল, ভেন্যু এবং টুর্নামেন্ট আলাদা হলেও মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই দলের একই ফুটবলাররা একই ভূমিকায়। মালদ্বীপে সাফে সাদউদ্দিন নেপালের ফরোয়ার্ডকে ফাউল করেছিলেন বক্সের মধ্যে। এবার কলম্বোয় করেছেন হ্যান্ডবল। শ্রীলঙ্কা দলের আক্রমণটি খুব বেশি জোরালো ছিল না। বক্সের মধ্যে তেমন চাপেও ছিলেন না সাদউদ্দিন। তারপরও তিনি হ্যান্ডবল করেছেন। ম্যাচ শেষে এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা তিনি অবশ্য দেননি। সাদউদ্দিন গত দুই মৌসুম ঢাকা আবাহনীর হয়েই খেলেছেন। তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন কোচ মারিও লেমোস। কলম্বোতে পর্তুগিজ কোচ যখন ফাইনাল খেলা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের কম দূরত্বে, ঠিক তখনই তার শিষ্য সাদউদ্দিনের এমন কান্ড।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লেমোস বলেছেন, ‘এটা আসলে খুবই দুঃখজনক। এত কাছ থেকে ফাইনাল খেলতে না পারা সত্যিই দুঃখজনক। সাদ দলের একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। অনেক সময় মনযোগের ঘাটতিতে এমন হয়ে থাকে।’
জাতীয় দলের ফুটবলাররা বছরের পর বছর দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারছেন না। অথচ তাদের পেছনে জনগণের ট্যাক্সের কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যয় করছে বাফুফে। তবে দেশের জন্য কিছু করতে না পারলেও ঘরোয়া আসরে খেলতে ক্লারগুলোর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন তপু বর্মণ-জুয়েল রানারা। জাতীয় দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা গল্প বেশ পুরনো। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে পেনাল্টি পেলে শট নিতে হয় ডিফেন্ডার তপু বর্মণকে। তপু চলতি বছর পেনাল্টি থেকে গোল করে বাংলাদেশকে জেতালেও মঙ্গলবার ব্যর্থ হয়েছেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে অসংখ্য গোল মিস, দশ জনের স্বাগতিক দলকে সামনে পেয়েও প্রয়োজনীয় এক পয়েন্ট না আনতে পেরে চরম ব্যর্থ বাংলাদেশ দল দেশে ফিরে আসছে ঠিকই, কিন্তু এসেই তারা পুরনো বুলি আওড়াবে। ফুটবলাররা বলবেন, চেষ্টা করছি, কিন্তু কেন ফল পাচ্ছি না বলতে পারবো না। আর বাফুফে কর্তারা বলবেন, এবার হয়নি পরের বার ঠিকই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।