প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আশি ও নব্বইয়ের দশকের সাড়া জাগানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এখন জাতীয় পর্যায়ের একজন সমাজসেবক। তিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্ত্রী জাহানারার নামে পাবনার পাড় ঘোড়াদহতে একটি উচ্চবিদ্যালয়ও স্থাপন করেছেন তিনি। সেই বিদ্যালয়টিকে ঘিরে একটি বাজারেরও সৃষ্টি হয়েছে। আর স্থানীয়রা বাজারটির নাম দিয়েছেন ‘কাঞ্চন বাজার’।
বিষয়টি নিয়ে ভীষণ আবেগাপ্লুত ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘জাহানারার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন কলেজের জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি সেটাও একসময় হয়ে যাবে। স্কুলটিকে ঘিরে যে বাজারের সৃষ্টি হয়েছে তার নাম আমার নামে ভালোবেসেই করেছেন স্থানীয়রা। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।’
১৯৯৩ সালে ২২ অক্টোবর নিজ হাতে বিস্কুট বানিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বান্দরবানে স্বামীর শুটিং সেটে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা এক ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান তার স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। স্ত্রীকে হারানোর পর ইলিয়াস কাঞ্চনের মনস্তত্বে বেশ পরিবর্তন আসে। এফডিসির লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশনের চিরচেনা রঙিন ভুবনকে পাশে রেখে রাজপথে নেমে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন শুরু করেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামের প্রতিষ্ঠান।
স্ত্রীর মৃত্যুর পরে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন শ্বশুরবাড়ি এলাকা পাবনার সুজানগর উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামে আসেন। এলাকা ঘুরে তিনি দেখতে পান, এখানকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ রয়েছে। অথচ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ এবং কষ্ট পোহাচ্ছে। বিষয়টি তাকে আহত করে। অতঃপর গ্রামবাসীর সহায়তায় ঘোড়াদহ গ্রামে তার স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং নামকরণ করেন জাহানারা কাঞ্চন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে উচ্চবিদ্যালয়টিকে কলেজে রূপান্তর করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
অভিনয়ে এখন আর নিয়মিত কাজ করেন না তিনি। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি চিত্রনায়িকা রোজিনা পরিচালিত ‘ফিরে দেখা’ নামের সরকারী অনুদানের একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। কয়েকদিন আগে একটি নাটকেও অভিনয়ে দেখা গেছে ইলিয়াস কাঞ্চনকে।
ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিষেক ঘটে ১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বসুন্ধরা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর একই পরিচালকের ‘ডুমুরের ফুল’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন তার ক্যারিয়ারে দর্শকদের অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ সিনেমার ব্যবসায়িক রেকর্ড এখনও ভাঙতে পারেনি কোনো চলচ্চিত্র।
এ পর্যন্ত তিনি ৩৩০টির বেশি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। আলমগীর কবির পরিচালিত ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৬ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাকে একই পুরস্কার দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।