বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘদিন পর উন্নয়নমূলক সংস্কারের মুখ দেখতে শুরু করেছে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। এটির তত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুমিল্লা জেলার একমাত্র চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন নিয়ে উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিনোদন কেন্দ্রটিতে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনা হবে এমনটি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, পরিকল্পতভাবে সাজানো হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা।
কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষেই ১০ একর ১৫ শতক জায়গায় ১৯৮৭ সালের গোড়ার দিকে তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুস সালামের প্রচেষ্টায় এবং কুমিল্লার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিত্তশালীদের সহযোগিতায় বিনোদন পিপাসুদের জন্য গড়ে তোলা হয় চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। ওইসময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কুমিল্লা জেলা পরিষদ এ প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব দেয় জেলা পরিষদকে। প্রতিবছরই চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত জুন মাসে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের ইজারা শেষ হয়েছে। জেলা পরিষদ মূলত এটির তত্ত¡াবধান করে থাকে। চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভূমির মালিক জেলা প্রশাসক। জুলাই মাস থেকে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন সংষ্কারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক। এখনো উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, চিড়িয়াখানায় এখন দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। বানর, হরিণ, অজগর, ভাল্লুক, মিশরী মুরগীসহ ১২ প্রজাতির প্রায় ২০টি প্রাণির খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে। এটির উন্নয়নমূলক সংস্কার কাজ শেষ হলে আমরা ঢাকাসহ অন্যান্য চিড়িয়াখানার সাথে যোগাযোগ করে নতুন প্রাণি আনার ব্যবস্থা করবো।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন কুমিল্লার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক বৃক্ষ মারা গেছে। এখন মাটি ভরাট করে পরিকল্পতভাবে নানা জাতের বৃক্ষে বোটানিক্যাল গার্ডেন সাজানো হবে। ফুল, ফল, ঔষুধিসহ নানা জাতের গাছ থাকবে। হাঁটার জন্য পথ তৈরি করা হয়েছে। চিড়িয়াখানাও নান্দনিক করা হবে। কাজ শেষে দর্শনার্থীদের জন্য আবার খুলে দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।