মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেসমিন জুফ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশি ও মাথাব্যথায় ভুগছিলেন। এর কিছুদিন পরেই তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মের স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে জন্মানো ছত্রাক আবিষ্কার করলেন। তিনি জানতে পারলেন, মূলত ছত্রাকের বৃদ্ধিতেই অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী জুফ সেপ্টেম্বরেই ছাত্রাবাসের আবাসিক উপদেষ্টাকে ছত্রাকের সমস্যাটি জানিয়েছিলেন; তবে কোনো সমাধান পাননি তিনি।
মাস গড়িয়ে গেলেও সমাধান না আসায়, তিনি এক অদ্ভূদ সিদ্ধান্ত নিলেন। ছাত্রাবাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা একই রকম সমস্যায় ভুগছিলেন, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জুফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্ল্যাকবার্ন সেন্টারে তাঁবু টাঙিয়ে, এয়ার ম্যাট্রেস বিছিয়ে বসবাস করতে লাগলেন। সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসির প্রতিবাদে জুফ ও তার বন্ধুরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার তেলাপোকা, ইঁদুরের উপদ্রব এবং ওয়াশিংটন ডিসির ব্ল্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রাবাসে ওয়াইফাই সংযোগ না থাকার অভিযোগও করেছেন।
জুফ বলেন, "এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের (কর্তৃপক্ষের) অবহেলা। এই সমস্যাগুলো সমাধনের সব সুযোগ তাদের ছিল।"
ছাত্র ও নাগরিক অধিকার কর্মীদের অভিযোগ, শত বছর পুরনো এইচবিসিইউ ক্যাম্পাসের জীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হলেও, হোয়াইট ইন্সটিটিউশনসের তুলনায় এগুলো কম অর্থায়ন পায়। সেইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা তো আছেই।
হাওয়ার্ডের এই প্রতিবাদ ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়, মোরহাউস ও স্পেলম্যানসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী 'ব্ল্যাক কলেজের' শিক্ষার্থীদেরও সমর্থন পেয়েছে। আটলান্টাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসের নানান সমস্যা ও আবাসনের ঘাটতির বিরুদ্ধে গত মাসে একটি যৌথ প্রতিবাদ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাওয়ার্ডে এই বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে প্রায় এক মাস ধরে।
ছাত্র বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি মিটিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। মিটিংয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমস্যাগুলো সমাধানের একটি বিস্তারিত ও স্বচ্ছ পরিকল্পনা উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে আবাসিক ভবনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্ভিয়াস ইনক-এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি বাতিলের দাবিতে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।
এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। তবে হাওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট ওয়েন এ.আই. ফ্রেডরিক ছাত্রাবাসের অবনতির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, "বিশ্ববিদ্যালয় সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কাজ করছে"।
ফ্রেডরিকের দাবি, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক পুরনো তাই ভবনগুলোতে এ ধরনের সমস্যা হতেই পারে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের জন্য কাজ করে চলেছে। সূত্র: সিএনএন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।