Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও আসাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৪১ এএম

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) টহল দেওয়ার সীমানা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিধানসভায় তার বিরোধিতা করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর আগে একই পথে হেঁটেছে পাঞ্জাব। গত মাসে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও আসামে বিএসএফের নজরদারির এলাকাসীমা আন্তর্জাতিক সীমানার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে আইন সংশোধন করে কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। -দ্য স্টেটম্যান

এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতোমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এতে মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, সীমান্তে আসল কী হচ্ছে দেখুন। আইন-শৃঙ্খলা একটা দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়। বিএসএফ আইনে এটা নেই। এখন এটা নিয়ে পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হবে। আমরা এটা নিয়ে বিধানসভায় কথা বলবো এবং বিএসএফের নজরদারির পরিধিএলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাবো।

কোচবিহারের একজন এমএলএ বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। নজরদারি এলাকা বাড়ানোরও কোনো প্রয়োজন ছিল না। চোরাকারবারি এবং অনুপ্রবেশকারীদের সাথে বিএসএফের হাত আছে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, কোচবিহারের তাদের কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। এটা পার হওয়া খুবই কঠিন। তারা দিনে তিনবার করে গেট খোলে, প্রত্যেকবার একঘণ্টার জন্য গেট খোলা থাকে। এ অবস্থায় যারা অনুপ্রবেশ করে তারা তাদের সাহায্য ছাড়া কিভাবে ঢুকতে পারে? তাই কেন্দ্রের উচিত, আগে তাদের নিজের বাহিনীকে সামালানো, তা না করে তারা এখতিয়ারের বাইরে কাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ