নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে/দিকে দিকে বাজল যখন শেকল ভাঙার গা....ন’
শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার খান আতাউর রহমানের বিখ্যাত এ গানের সুর ভাসতে ভাসতে পৌঁছে গেছে আইসিসির সদর দফতরে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকেই বাদ পড়ে যাওয়ার পর বায়ো-বাবল বা জৈব সুরক্ষাবলয়কে দোষ দিয়েছেন ভারতের বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী। টানা জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে থাকার মানসিক ধাক্কাটা যে ক্ষতির কারণ হতে পারে, সেটা বলছেন মনোবিদেরাও। সবকিছু বিবেচনা করে ক্রিকেট থেকে সুরক্ষাবলয়ের কড়া নিয়মকানুন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
গত শুক্রবার খেলুড়ে দেশগুলোর বোর্ডের প্রধান নির্বাহীদের এক সভায় আলোচনা হয়েছে জৈব সুরক্ষাবলয় উঠিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গটি। সভায় মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্রিকেটে আর থাকছে না বায়ো-বাবলের ব্যবস্থা। আইসিসির অভ্যন্তরীণ এক সূত্রের বরাতে এমন প্রতিবেদন করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জৈব সুরক্ষাবলয়ের বিকল্প হিসেবে আইসিসির আদর্শ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। প্রিমিয়ার লিগে মাঠের বাইরে স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যেতে পারেন ফুটবলাররা। শুধু নিয়মিত করোনা পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে—এই হলো শর্ত। টিকা নেওয়ার পর করোনার সংক্রমণ এখন ইংল্যান্ডে প্রায় নেই বললেই চলে। অনুমতি আছে মাস্ক ছাড়া বাইরে চলাফেরা করারও। সব দেশের ক্রিকেটাররাও টিকার আওতায় চলে এসেছেন। জৈব সুরক্ষাবলয়ের তাই প্রয়োজন দেখছে না আইসিসি।
সংস্থাটির সেই অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রিমিয়ার লিগে কেউ যদি করোনা সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেন, তবু তাকে কোয়ারিন্টিনে যেতে হয় না। শুধু করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকেই আলাদা থাকতে হয়।’ পর্যালোচনার পর জৈব সুরক্ষারবলয়কে ক্ষতিকারক মানছে আইসিসি, যেকোনো সময় উঠিয়ে নেওয়া হতে পারে এই নিয়ম। তবে ঠিক কবে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনো পাকা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি।
উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকার শর্ত জুড়ে দিয়ে মাঠে ফিরেছিল ক্রিকেট। ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক সব রকমের প্রতিযোগিতাতেই কঠিন সুরক্ষাবলয়ে থাকতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কাটে স্টেডিয়াম আর হোটেলে যাতায়াত করে। নির্দিষ্ট এক গÐির মধ্যে থাকতে থাকতে মানসিক ভারসাম্য হারানোর পথে ক্রিকেটারেরা। বিরক্ত হয়ে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার কথা ভাবছেন অনেক ক্রিকেটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।